আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এনটিপিসি পরীক্ষার দিনক্ষণ কবে ঘোষণা করা হবে, তা নিয়ে রেলমন্ত্রকের কাছেও সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগস্ট মাসে এই ৩৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের পরীক্ষা হতে পারে। যদিও তা এখনও নিশ্চিত নয়। যেহেতু পরীক্ষায় বসতে চেয়ে এক কোটিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে, তাই সেইসব আবেদনপত্র স্ক্রুটিনির কাজ চলছে। তা শেষ হলেই পরীক্ষার দিনক্ষণ জানানো হবে। এনটিপিসির এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে দুটো ভাগে ভাগ করে পরীক্ষা নিচ্ছে রেলমন্ত্রক। যার মধ্যে একটি রাখা হয়েছে ‘আন্ডার গ্র্যাজুয়েট’দের জন্য। যেখানে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে ১০+২ পাশ। এই ক্যাটিগরিতে মোট শূন্যপদ রয়েছে ১০ হাজার ৬২৮টি। এর মধ্যে রয়েছে জুনিয়র ক্লার্ক কাম টাইপিস্ট, অ্যাকাউন্টস ক্লার্ক কাম টাইপিস্ট, জুনিয়র টাইম কিপার, ট্রেনস ক্লার্ক এবং কমার্শিয়াল কাম টিকিট ক্লার্ক। এখানে সবথেকে বেশি শূন্যপদ রয়েছে কমার্শিয়াল কাম টিকিট ক্লার্ক পদেই। ৪ হাজার ৯৪০টি। অন্যদিকে, পরীক্ষার দ্বিতীয় ভাগটি রাখা হয়েছে যাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা গ্র্যাজুয়েট, তাঁদের জন্য। এক্ষেত্রে শূন্যপদের সংখ্যা মোট ২৪ হাজার ৬৪৯টি। যার মধ্যে রয়েছে ট্র্যাফিক অ্যাসিস্ট্যান্ট, গুডস গার্ড, সিনিয়র কমার্শিয়াল কাম টিকিট ক্লার্ক, সিনিয়র ক্লার্ক কাম টাইপিস্ট, জুনিয়র অ্যাকাউন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট কাম টাইপিস্ট, সিনিয়র টাইম কিপার, কমার্শিয়াল অ্যাপ্রেন্টিস এবং স্টেশন মাস্টার। সর্বাধিক শূন্যপদ স্টেশন মাস্টার পোস্টেই। ৬ হাজার ৮৬৫টি। পদগুলির সবই নন-টেকনিক্যাল হওয়ায় প্রত্যাশিতভাবেই মোট ৩৫ হাজার ২৭৭টি শূন্যপদের জন্য এত বেশি সংখ্যক আবেদনপত্র জমা পড়েছে। কিন্তু এখনও দিনক্ষণ ঘোষণা না হওয়ায় চরম বিভ্রান্তি শুরু হয়েছে।
গত ১ জুলাই লোকসভায় শ্রমমন্ত্রক জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে শূন্যপদ রয়েছে প্রায় সাত লক্ষ। যার মধ্যে সর্বাধিক আড়াই লক্ষেরও বেশি রেলে। সম্প্রতি লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ‘কলকাতা মেট্রো এবং রেলের ১৬টি জোনে নন-গেজেটেড পোস্টে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫৭৪টি। যার মধ্যে কলকাতা মেট্রোয় নন-গেজেটেড শূন্যপদ ৯২৫টি। পূর্ব রেলে ২৩ হাজার ৯৬১টি। দক্ষিণ পূর্ব রেলে ১৭ হাজার ৭৩৮টি।’ চলতি বছরের ১ জুন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে উপর ভিত্তি করে জোনভিত্তিক নন-গেজেটেড শূন্যপদের ওই হিসেবে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। প্রশ্ন উঠছে, এত শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ প্রক্রিয়াগুলিকে আরও দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ কেন নিচ্ছে না রেলমন্ত্রক?