আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
অন্যদিকে, শুক্রবার রাত থেকেই পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়া নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, সবেমাত্র বাজেট ‘পেশ’ হয়েছে, এখনও ‘পাশ’ হয়নি। তা সত্ত্বেও শুক্রবার রাত থেকেই পেট্রল, ডিজেলের দাম লিটার প্রতি দু’ টাকা (রাজ্যের অংশ বাদ দিয়ে) বাড়ল কী করে? তৃণমূল এমপি সৌগত রায় বলেন, ‘বাজেট পাশ হওয়ার আগেই পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ানো বেআইনি।’ সংসদেও এ ব্যাপারে তৃণমূল সোচ্চার হবে বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার থেকে লোকসভায় শুরু হবে বাজেট বিতর্ক। সরকার আট ঘণ্টার মধ্যে বাজেট আলোচনা শেষ করতে চাইলেও, বিরোধীদের দাবি ছিল ১০ ঘণ্টা। কিন্তু সেসব টপকে ১২ ঘণ্টা সময় নির্ধারণ করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সেই মতো আগামীকাল লোকসভায় আটটি বিল পেশ করার পর বাজেট নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। রাজ্যসভায় আলোচনা শুরু হবে মঙ্গলবার। লোকসভায় আলোচনার শেষে আগামী বুধবার দুপুরে জবাব দেবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পাশ করাবেন ২০১৯-’২০ অর্থবর্ষের বাজেট।
সীতারামন যেদিন জবাব দেবেন, সেদিনই রেলের পক্ষ থেকে এ বছরের বিস্তারিত কাজের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তাই বিরোধী নেতারা প্রশ্ন তুলছেন, একে তো প্রথা ভেঙে পৃথক রেল বাজেট আগেই বন্ধ করে দিয়েছে মোদি সরকার। তার উপর রেলের খাতে যে বরাদ্দের কথা ঘোষণা হয়েছে, তা কোথায় কীভাবে খরচ করা হবে, কোন প্রকল্পে কত টাকা বরাদ্দ হল, তা জানাতে কেন সময় নিচ্ছে রেল? তাছাড়া বাজেট যদি পাশই হয়ে যায়, তাহলে আলোচনায় অংশ নিয়ে কোনও এমপি যদি জনস্বার্থে তাঁর এলাকার জন্য রেলের কোনও প্রকল্পের প্রস্তাব দেন, তা বাজেটে যুক্ত হওয়ার আর কোনও সুযোগ থাকবে কি?
বিরোধীদের অভিযোগ, বাজেটে এবার মধ্যবিত্তের দিকে তাকায়নি মোদি সরকার। একইসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেচে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কর্মসংস্থানের তেমন কোনও দিশা নেই। রাজস্ব বৃদ্ধির সুযোগও কম। তাহলে কোন যাদুতে দেশকে ‘নিউ ইন্ডিয়া’য় পরিণত করবেন মোদি? বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে সরকারকে কাঠগড়ার দাঁড় করাবে বলেই ঠিক করেছে বিরোধীরা। যদিও বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, মধ্যবিত্তের দিকে নজর দেওয়া হয়নি বাজেটে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।
কংগ্রেসের মুখ্য মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা আজ প্রশ্ন তুলেছেন, মোদি সরকার কি দেশটাকে দেউলিয়া করে তুলবে? এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ বিক্রি করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এফসিআইয়ের ঋণ ২ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির ঋণ ৬০ হাজার কোটি। ওএনজিসি ডুবছে। এলআইসি’র ন’হাজার কোটি টাকা আইডিবিআই ব্যাঙ্কে দেওয়া হচ্ছে। এটাই কি দ্বিতীয় মোদি সরকারের সত্যি? লোকসভা এবং রাজ্যসভায় দলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। একইভাবে সোমবার সন্ধ্যায় রাজীব গান্ধী ইনস্টিটিউট ফর কনটেম্পরারি স্টাডিজের আয়োজনে এক আলোচনায় সংসদ ভবন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বাজেট নিয়ে মোদি সরকারকে চেপে ধরবেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।