বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
গাড়ির চালক থেকে আম জনতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ইতিমধ্যেই টাকা পেয়েছে রাজ্য পুলিসের ট্রাফিক বিভাগ। সেই টাকাতেই সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০০টি থানা এলাকায় প্রায় দশ হাজার মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় সোমবার। পাশাপাশি রাস্তায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে প্রশিক্ষিত বাহিনী রাখা হচ্ছে। যারা প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে শুরু করে হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে। সমস্ত কিছুই করা হচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরেরর বরাদ্দ করা টাকায়।
তিন বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের সূচনা করেন। তার জেরে দুর্ঘটনায় মৃত্যু এবং আহতের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে রাজ্যে। ট্রাফিক দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, এই প্রকল্পের জেরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা ২৭ শতাংশ কমেছে। আহত হওয়ার সংখ্যা ২০.০২ শতাংশে নেমে এসেছে। গোটা রাজ্যে যা রেকর্ড। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও কমানোই লক্ষ্য। যাতে এই রাজ্য অন্য রাজ্যের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিভিন্ন রাস্তায় বসেছে স্পিড ব্রেকার, হাইওয়েতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে গাড়ির গতি। যে কারণে দুর্ঘটনা কমতে শুরু করেছে, এমনটাই পুলিসের বক্তব্য। পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও হাইওয়েতে বেড়েছে পুলিসের নজরদারি।
ট্রাফিক আইন ও কী ধরনের সচেতনতা মেনে চলা দরকার, তা নিয়ে সমস্ত স্তরে সচেতনতা বাড়াতে চাইছে পুলিস। যাতে গাড়ি চালানোর সময় নির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে বাধ্য হন সকলে। বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ শিবির করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি চালাতে গিয়ে জেলাগুলিকে আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। সেই কারণেই রাজ্য পুলিস সিদ্ধান্ত নেয়, এক্ষেত্রে বিভিন্ন দপ্তরের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নেবে। যৌথভাবে তারা এই কাজ করবে। সেই মতো স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে টাকা চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির করা হবে বিভিন্ন জেলায়। পরীক্ষা করা হবে চালকদের চোখও। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষিত বাহিনী ও ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুলেন্স রাখতে চায় তারা। যাতে আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। যৌথভাবে এই প্রকল্প চালানোর কথা বলা হয়। এরপরই স্বাস্থ্য দপ্তর এক কোটি টাকা মঞ্জুর করে।