বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং কোডের (এমবিসি) ৫৪৪ নম্বর বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তকে এদিন মেয়র পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে স্থির হয়েছে, যে শপিং মলগুলিতে কোলের শিশুদের পরিচর্যার জন্য পৃথক কক্ষ রয়েছে, সেগুলিকে অনুমোদন দেওয়া হবে। বর্তমানে থাকা অনেক শপিং মলে এমন কক্ষ নেই। সেগুলির কর্তৃপক্ষকে বলা হবে, ওই কক্ষ তৈরি করতে। এছাড়া নতুন শপিং মল বা বাণিজ্যিক ভবনের নির্মাণ নকশায় এই কক্ষ রাখতে হবে। বিল্ডিং বিভাগ সূত্রে খবর, এই কক্ষ অনুমোদনের জন্য কোনওরকম টালবাহানা করা হবে না।
পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পৃথক কক্ষ তৈরির জন্য জায়গার পরিমাণ নির্ধারিত করা হয়েছে, ছ’ফুট বাই আট ফুট। যা যে কোনও শপিং মল কর্তৃপক্ষের জন্য অত্যন্ত কম বলেই জানিয়েছেন বিল্ডিং বিভাগের কর্তারা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, মাদার কেয়ার কক্ষ তৈরি করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামীদিন থেকে শহরে শপিং মল তৈরি হলে, এই মাদার কেয়ার কক্ষ থাকতে হবে। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন সমাজকর্মীরা। তাঁদের কথায়, কলকাতা পুরসভার এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যুগোপযোগী। একজন মা-কে শপিং মলের কর্তা-কর্মীরা যা খুশি বলবেন, তা চলতে পারে না। সাধারণ মানুষও তা মেনে নেয় না। যার অন্যতম প্রমাণ দক্ষিণ কলকাতার ওই শপিং মল কর্তৃপক্ষের বিতর্কের মুখে পড়া। ওই ঘটনার পর সমাজকর্মীদের অনেকেই দাবি করেছিলেন, বিমানবন্দরে স্তন্যপান করানোর জন্য আলাদা জায়গা তৈরি হয়েছে। শপিং মলেও বাধ্যতামূলক ভাবে স্তন্যপান করানোর জায়গা করা উচিত। পুর প্রশাসনের কর্তাদের কথায়, এমবিসি’তে দীর্ঘ আলোচনা হয় বিষয়টি নিয়ে। মেয়রের কাছেও বৈঠকে ওঠার আগে তা পেশ করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, খোদ মুখ্যমন্ত্রীও এব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি চাননি, আগামীদিন কোনও মা’কে এই নিয়ে বিতর্কে পড়তে হোক। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত দু’মাস ধরে আলোচনার পর এই মাদার কেয়ার কক্ষ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হল।