উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
দাঁতাল হাতিটির হামলায় মৃতের সাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। এদিকে ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বনদপ্তর ও পুলিসের উদাসনীতার জেরে কুমারগ্রামের চা বাগান ও বনবস্তিগুলিতে আয়োজিত জলসার আসরে রাতভর বিকট শব্দে ডিজে বাজানো হচ্ছে। প্রশাসন অবশ্য এই অভিযাগ উড়িয়ে দিয়েছে।
পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, চা বাগান ও বনবস্তির জলসায় রাতভর ডিজে বাজানো নিয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখা হবে। তবুও আমরা নজর রাখছি।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত অবশ্য বলেন, হাতির হামলায় ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। মৃতের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ঘটনার পরেই মৃতের পরিবারকে পঞ্চায়েতের উপস্থিতিতে দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা দেওয়া হবে মৃতের দেহের ময়নাতদন্তের পর।
বনদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির বাড়ি রহিমাবাদ চা বাগানের বড়া লাইনে। তিনি কোনও কাজকর্ম করতেন না। শনিবার রাতে পাশে ফাঁসখাওয়া চা বাগানে জলসার আসর বসেছিল। সেই জলসা থেকেই রবিবার ভোররাতে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় দাঁতালটির সামনে পড়ে যায় ওই ব্যক্তি। দাঁতালটি ওই ব্যক্তিকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের সাইকেলটিও দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে।
মৃতের স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি সেখান থেকে টাকা পাঠাতেন বাড়িতে। আর বাড়িতে তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকতেন ফিরনাথ। বাবার মৃত্যুতে সাত বছরের রাহুল, ১২ বছরের হরি ও আট বছরের একমাত্র মেয়ে বীণা কার্যত অনাথ হয়ে গেল।
এদিকে ঘটনার পর এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বনদপ্তর ও পুলিসের উদাসীনতায় ফাঁসখাওয়া, রহিমাবাদ ও জয়ন্তী সহ এলাকার চা বাগান ও বনবস্তিগুলিতে জলসায় রাতভর ডিজে বাজানো হচ্ছে। রাতে ডিজের তান্ডবে বাসিন্দারা ঘুমাতে পারছেন না। বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত এই জলসা ও ডিজে বন্ধ করা হোক।