ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
রায়গঞ্জ থানার পূর্ব পারধা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি বিপুল বর্মনের সঙ্গে দক্ষিণ মালঞ্চা গ্রামের চন্দনা বর্মনের চার মাস আগে সামাজিক বিয়ে হয়। প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে দুই পরিবারের বসবাস। নিম্ন আয়ের মানুষ হলেও বেশ ঘটা করেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল। সোমবার ভোরে এধরনের একটি মৃত্যুর খবর চাউর হতেই হতবাক হয়ে যান পূর্ব পারধা ও দক্ষিণ মালঞ্চা দুই গ্রামের বাসিন্দারা। মৃতার বাবা গোপাল বর্মন বলেন, বিয়ের পর এক মাস মেয়ে বেশ ভালোভাবে সংসার করছিল। বড় মেয়ের বিয়েতে ঋণ করে জামাইকে যৌতুক হিসাবে মোটর বাইক, নগদ ২০ হাজার টাকা, সোনার গয়না দিয়েছিলাম। বড় মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে আমার ৭০ হাজার টাকা ঋণের বোঝা এখনও রয়েছে। এতকিছু পেয়েও জামাইয়ের মন ভরেনি। বিয়ের এক মাস পরেই জামাই তার আসল চেহারা প্রকাশ করে। ফের মেয়েকে বাপের বাড়িতে টাকা চাইতে চাপ দিতে থাকে। এজন্য মানসিক অত্যাচার চালাত। মেয়ে আমাকে সেকথা জানিয়েছিল। মেয়ের কাছে সব জানার পর আমি জামাইকে বুঝিয়ে বলে ওদের সুখে আনন্দে সংসার করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। নিজের অসহায়তার কথাও বুঝিয়ে বলি। কিন্তু দিনের পর দিন আমার নিরীহ মেয়ের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছিল। দিন দশেক আগে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মেয়ে আমার বাড়িতে চলে আসে। তখন ফের জামাইকে সব বুঝিয়ে বলেছি। বড় মেয়ে ছাড়াও আমার এক ছেলে আরও দুই মেয়ে রয়েছে। জনমজুরি করে সংসার চালাই। চার দিন আগে জামাই এসে মেয়েকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সোমবার ভোরে খবর আসে মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে চলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি মেয়ের মৃতদেহ বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয়েছে। এটি নিছক আত্মহত্যার ঘটনা নয়।
মৃতের বাবার অভিযোগ, মেয়েকে হয় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে, নয় ওকে মানসিক অত্যাচার চালিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। ধৃত বিপুল বর্মনের দাদা সুবল বর্মন বলেন, ওদের স্বামী স্ত্রীতে কোনওদিন বড় ধরনের অশান্তি দেখিনি। কেন বউমা আত্মহত্যার পথ বেছে নিল বুঝে উঠতে পারছি না। সোমবার ভোরে ভাই আমাকে এসে জানায় তাঁর শোওয়ার ঘরের পাশের ঘরে স্ত্রী ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। প্রাণে বাঁচাতে ভাই বউমাকে নামিয়েছিল।