ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
ইটাহারের মারনাই থেকে আসা রাহিমা খাতুন বলেন, আমার স্বামী কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁর কাছে থাকার জন্য আমি বাচ্চাদের নিয়ে হাসপাতালেই আছি। আলাদা কোনও ব্যবস্থা না থাকায় আমরা আউটডোরের শেডের নীচে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। একই কথা বললেন করণদিঘির প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে নিজের ছেলের চিকিৎসা করাতে আসা তপন বর্মন। তিনি বলেন, আমরা বহুদূর থেকে এই মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করাতে এসেছি। বারবার যাতায়াত করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই রাতেও আমাদের হাসপাতালে কাটাতে হয়। মশার কামড় থেকে বাঁচতে আমরা মশারি টাঙিয়ে রাতে ঘুমাতে যাই। তবে হাসপাতালে এভাবে থাকা ছাড়া আমাদের আর কোনও গতি নেই।
রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা নতুনভাবে চলতে শুরু করেছি। আমাদের চিন্তাতেও হাসপাতালের রোগী ও তাদের পরিবারের জন্য ব্যবস্থা করার কথা রয়েছে। ধীরে ধীরে সমস্তটাই হয়ে যাবে।
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চলতি বছরেই চালু হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রামাঞ্চল থেকে শহর, পাশ্ববর্তী জেলা এমনকী প্রতিবেশী রাজ্য বিহার থেকে রোগীরা এই হাসপাতালে ভালো চিকিৎসার জন্য আসেন। অনেক সময়ে জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে বহু রোগীকে এই মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। ফলে দিনের পর দিন হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। সেইসঙ্গে রোগীদের নানা প্রয়োজনীয় দিক নজরে আসছে। বর্তমানে রোগী ও তাদের পরিবারের সবচেয়ে বেশি জরুরী হল একটি বড়সড় প্রতীক্ষালয় তৈরি করা। যেখানে চিকিৎসার প্রয়োজনে দিনের পর দিন পড়ে থাকা রোগীর পরিবার অনায়াসে ঠাঁই করে নিতে পারে। মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি এই ব্যবস্থা করার দাবিও উঠেছে। চিকিৎসকদের একাংশও এবিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন। তাঁদের মতে, চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর পরিবারের সদস্যরা চাইছেন ভালো চিকিৎসা ও তাদের পরিবারের জন্য অন্ততপক্ষে ভালোভাবে অপেক্ষা করার সামান্য জায়গা। রোগী ও মেডিক্যাল কলেজের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে এই ব্যবস্থা করা গেলে সত্যিই খুব ভালো হবে।