বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
কানাইয়াবাবু বলেন, ইসলামপুরের ভূমিপুত্র আমি। আমাকে প্রার্থী করায় কর্মী-সমর্থকেরা আনন্দিত। এটাই স্বাভাবিক। অনেক সাধারণ মানুষও আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ব্লকগুলিতে সংগঠন মজবুত আছে। আমার সঙ্গে সকলের পরিচিতি আছে। আমিই জিতব। ইসলামপুরের বাসিন্দা বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, সিপিএম প্রার্থীকে খোলা মাঠ দেওয়ার জন্য কানাইয়াবাবুকে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি চারবার চেয়ারম্যান হয়েছেন। একবার বিধায়ক হয়েছেন। কিন্তু শহর বা গ্রাম কোথাও উন্নয়ন কিছু হয়নি। লোকে তাঁকে ভোট দেবে না। সিপিএমের ইসলামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, লোকেসভা নির্বাচন হচ্ছে নীতি ও আদর্শের লড়াই। এখানে আঞ্চলিকতাবাদ প্রাধান্য পায় না।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবার ২০১৪ সালের নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ভাই পবিত্ররঞ্জন দাশমুন্সি। এর আগে ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে জোট হয়েছিল। জোট প্রার্থী ছিলেন কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সি। প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরি ২০০৯ সালে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন। কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোট ও দীপা দাশমুন্সিকে প্রার্থী করার প্রতিবাদে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে যান। সেই অর্থে ভূমিপুত্র হিসেবে ইসলামপুরের করিম সাহেব লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে দাঁড়ালেও তাঁর পিছনে কোনও জাতীয় দলের প্রতীক ছিল না। ইসলামপুরের ভূমিপুত্র হিসেবে জাতীয় দলের প্রতীকে কানাইয়াবাবুই প্রথম লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পেলেন।
এই ঘটনায় ইসলামপুরের তৃণমূল শিবিরে উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি ভূমিপুত্রকে প্রার্থী পেয়ে সাধারণ মানুষের আবেগও নাড়া রেখেছে। অনেকেই এই প্রসঙ্গ তুলেই কানাইয়াবাবুর হয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ইসলামপুর থেকে বেশি সংখ্যক ভোটে লিড দেওয়ার আওয়াজও উঠেছে। কানাইয়াবাবুর অনুগামীরা প্রচারে এনেছেন কানাইয়াবাবুর হার মানে, ইসলামপুরের হার। এনিয়ে ইসলামপুরে বাড়তি উৎসাহ ছড়িয়েছে।
কানাইয়াবাবুর ঘনিষ্ঠমহল জানিয়েছে, ইসলামপুর হাই স্কুলে পড়াশুনার পরে তিনি শিলিগুড়ি কলেজ ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। তিনি আইনের ছাত্র ছিলেন। ইসলামপুর কোর্টে দুই বছর প্র্যাকটিসও করেছেন। ১৯৯৮ সালে ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেস থেকে জিতে প্রধান নির্বাচিত হন। এরপরে পুরসভা গঠন হয়। সেই থেকে পর পর চারবার পুরসভার চেয়ারম্যান রয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ইসলামপুরের বিধায়কও বটে। তবে বিধায়সভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বচিত হওয়ার পরে তিনি দল বদল করে তৃণমূলে যোগ দেন।