বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বুধবার থেকেই তৃণমূল যুব কংগ্রেস জেলা জুড়ে দলীয় প্রার্থী দশরথ তিরকির নামে দেওয়াল লিখনের মধ্য দিয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসও বাড়ি বাড়ি হেঁশেলে ঢুকে মহিলাদের মধ্যেও প্রচার শুরু করেছে। শাসক দলের কিষাণ সেলও বুথওয়ারি কৃষকদের মধ্যে প্রচারে নেমে পড়েছে। সেখানে প্রার্থী বাছাই নিয়ে দল ঘুরপাক খাওয়ায় বিজেপি’র কোনও শাখা সংগঠনই এখনও প্রচারের ময়দানে নামতে পারেনি।
মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার বলেন, আমরা বাড়ি বাড়ি হেঁশেলে ঢুকে মহিলাদের মধ্যে প্রচার শুরু করে দিয়েছি। যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সমর ভট্টাচার্য বলেন, আমরা দলের যুব সংগঠনের সৈনিকরা বুধবার থেকেই জেলা জুড়ে প্রার্থীর নামে দেওয়াল লিখনের মধ্য দিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছি।
বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা অবশ্য বলেন, আশা করছি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শুক্রবারের মধ্যেই দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে। সারা বছর ধরে বুথস্তরে আমাদের সংগঠন গোছানোই আছে। এদিকে শুধু এগিয়ে থাকাই নয়, প্রচারের তীব্রতা বাড়াতে আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় শাসক দল তৃণমূলের জেলা কমিটি বৈঠকে বসছে। দলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, শুক্রবার থেকে প্রচারের তীব্রতা বাড়ানো হবে। প্রচারে বিরোধীদের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চেয়ে বিজেপি’র যে পাঁচ জন আবেদন করেছেন তারা হলেন দলের মাদারিহাট বিধানসভার দলীয় বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা জন বারলা, গত লোকসভা ভোটের প্রার্থী বীরেন্দ্র বড়া, আরএসপি থেকে আসা কুমারগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ ওরাঁও এবং জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য অতুল সুব্বা। আবেদনকারী পাঁচ জনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে শিঁকে ছিঁড়বে এখন তা নিয়েই গেরুয়া শিবিরে টান টান উত্তেজনা। বিজেপি সূত্রে খবর, এই পাঁচ জনের মধ্যে বর্তমানে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন মনোজ টিগ্গা, মনোজ ওরাঁও এবং জন বারলা। তিন জনের মধ্যে একজনকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসাবে বেছে নিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কার্যত ঘুরপাক খাচ্ছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।