হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
রাহুল গান্ধীও পাল্টা রাজ্যপালকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছেন, তিনি কাশ্মীরে আসবেন। তার জন্য বিশেষ বিমান পাঠানোর দরকার নেই। স্রেফ সাধারণের সঙ্গে খোলামনে কথা বলার সুযোগ করে দিন। মন্তব্য করে রাজ্যপালকে রাহুল কার্যত চাপে ফেলেছেন বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। আজও ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গে ট্যুইট করেছেন রাহুল গান্ধী। রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছেন, আমি আপনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করছি। কিন্তু কোনও শর্ত দেওয়া চলবে না। জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমি আসছি। কবে আসব বলুন? প্রশ্ন ছুঁড়েছেন রাহুল।
কেবল রাহুল গান্ধীই নন। কাশ্মীর ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, কংগ্রেসের লোকসভার এমপি তথা শশী থারুর, অধীররঞ্জন চৌধুরিও সমালোচনায় মোদি সরকারকে বিঁধেছেন। চিদম্বরম বলেছেন, রাহুল গান্ধীকে যে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তা মোটেই কোনও আন্তরিক আমন্ত্রণ নয়। ওটা একটা প্রোপাগান্ডা মাত্র। রাহুল গান্ধী যে খোলামনে ঘোরাফেরার পাশাপাশি সাধারণের সঙ্গে কথা বলার প্রসঙ্গ তুলেছেন, তাকে সমর্থন করেই পি চিদম্বরম বলেছেন, রাহুল গান্ধী তো কোনও শর্ত রাখেননি। কেবল সাধারণ মানুষ, প্রহরারত সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলার কথা বলেছেন। কেন সাধারণ কোনও পর্যটকের কি কারও সঙ্গে কথা বলার স্বাধীনতাও নেই? প্রশ্ন ছুঁড়ে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল তথা কেন্দ্রের মোদি সরকারকে চাপে ফেলেছেন চিদম্বরম।
শশী থারুরও রাজ্যপালকে চাপে ফেলতে বলেছেন, শুধু রাহুল গান্ধী কেন? লোকদেখানো কোনও মন্তব্য না করে সর্বদলীয় একটি প্রতিনিধিদলকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে আসার সুযোগ করে দিন। মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরির মন্তব্য, কাশ্মীরের পরিস্থিতি যদি এতই স্বাভাবিক, তাহলে ভারতের ভূস্বর্গকে কেন কয়েদখানা বানিয়ে রাখা হয়েছে? মোদি সরকার সবার আগে বলুক, যে কাশ্মীরিদের ভালোর জন্য রাজ্য থেকে বিশেষ স্ট্যাটাস তোলা হল, রাজ্যটাকে দ্বিখণ্ডিত করা হল, তাঁদের মুখে কেন হাসি নেই?