উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
বৈঠক সূত্রে খবর, একটি শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধি মোবাইল না নেওয়া নিয়ে গাঁইগুঁই করলেও বাকিদের সমর্থনে তা খুব একটা ধোপে টেকেনি। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির সদস্য দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরাই এই প্রস্তাব পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে রাখি। কারণ, গতবার যা ঘটেছিল, সেটা মোবাইল ফোন ছাড়া অসম্ভব। কেউ যদি একাধিক মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়ে একটি বা দু’টি প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা রাখেন, তাহলে তো সব সময় তা ধরা সম্ভব নয়। তাই ওই তিন ঘণ্টা আমরা শিক্ষকরা মোবাইল ছাড়া থাকতে পারব বলেই আশা করি। অন্যান্য সংগঠনও এই দাবি মেনে নিয়েছে। তাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বলেন, ১২ লক্ষ পরীক্ষার্থীর স্বার্থে এই দাবি মানতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। আমরা জেলাগুলির পরীক্ষা বিষয়ক কমিটিতে সংগঠনের প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব রেখেছি পর্ষদ সভাপতির কাছে। তিনি পরীক্ষা বিষয়ক পরবর্তী বৈঠকে তা তুলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। প্রত্যন্ত এলাকায় কোনও সেন্টার বা কেন্দ্র নিয়ে সমস্যা থাকলে তিনি তা পাল্টে দেবেন বলেও কথা দিয়েছেন। পর্ষদ সভাপতি বলেন, সেন্টার এবং কেন্দ্র মিলিয়ে পাঁচ ধরনের আধিকারিকের হাতে ফোন থাকবে। অফিসার ইনচার্জ, সেন্টার সেক্রেটারি, অ্যাডিশনাল সেন্টার সুপারভাইজার, ভেন্যু সুপারভাইজার, অ্যাডিশনাল ভেন্যু সুপারভাইজার ছাড়া কারও হাতে ফোন থাকবে না।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে দু’বছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্বিঘ্নে করা তৃণমূল সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জের। শিক্ষক সংগঠনগুলিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হচ্ছে, এমন অভিযোগ পর্ষদের বিরুদ্ধে উঠেছিল। বিভিন্ন সংগঠনের অভিযোগ ছিল, শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা না করা ও তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় না রাখার ফলেই গতবার দুর্যোগ ঘটেছিল। তারপর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও শিক্ষকদের নিয়ে এগনোর নির্দেশ দিয়েছিলেন পর্ষদকে। তার জেরেই এদিনের বৈঠক।