শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
বণ্টন কোম্পানি সূত্রের খবর, নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানোর জন্য তাদের চারটি সংস্থা নথিভুক্ত ছিল। তাদের মধ্য থেকেই ‘লিমিটেড টেন্ডার’ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে একটি সংস্থাকে বেছে নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরীক্ষাটি হয়েছিল গত জুন মাসে। তারপরই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয় এবং বড়সড় গলদ ধরা পড়ে। অন্যান্য সংস্থার কাজের ক্ষেত্রে বাকি তিনটি সংস্থা নিয়েও অভিযোগের খবর মেলে। এই প্রেক্ষাপট বণ্টন কোম্পানির নিয়োগ-নীতি পরিবর্তনের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানোর জন্য ‘ওপেন টেন্ডার’ ডাকা নিয়ে বর্তমানে চর্চা চলছে।
সংস্থার অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে চারটি সংস্থাকে বাছাই করা হল, যে প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে? গত জুনের পরীক্ষায় দুর্নীতির ঘটনার সঙ্গে সংস্থার ভিতরের কেউ যুক্ত কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে কর্মী-অফিসার মহলে।
নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগটি সামনে আসায় বদলির প্রক্রিয়া, ভিজিল্যান্স-এর কাজকর্মও এখন আতস কাচের নীচে চলে এসেছে। সংস্থার একটি সূত্রের খবর, কর্মীদের প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভাগীয় এক কর্তার স্বজনপোষণের অভিযোগপত্র ঘিরে বর্তমানে বিদ্যুৎ ভবনে ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে। সেই অভিযোগ নিয়ে মানবসম্পদ বিভাগ কোনও তৎপরতাই দেখায়নি বলে অভিযোগ। তবে, বদলির ক্ষেত্রে নিয়মবিরুদ্ধ পদক্ষেপ ঘিরে সবচেয়ে বেশি সরব হচ্ছেন কর্মী-অফিসাররা। কিছু ক্ষেত্রে আবার একবার বদলির নির্দেশ জারি করে, কিছু দিনের মধ্যেই ফের নতুন নির্দেশিকা জারির অভিযোগ তুলছেন কর্মী-অফিসাররা। তাতে সংস্থার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। গোটা বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা সংস্থার ডিরেক্টর (এইচআর) সুজয় সরকারকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। ফলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এসএমএস করা হয়েছিল দু’দিন। দু’বারই তিনি জানিয়েছেন, দুঃখিত, কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।
নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় পরীক্ষা প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বণ্টন কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। এমন ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে চেষ্টা করেও অনিয়ম করা না যায়। সেই মতো নিয়োগ নীতির বদল করা হবে। নয়া ব্যবস্থায় নতুন করে পুরোপুরি স্বচ্ছতা বজায় রেখে পরীক্ষা নেওয়া হবে। বদলি এবং ভিজিল্যান্স সংক্রান্ত ব্যাপারে অনিয়ম নিয়ে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।