শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
এদিন বৈঠকটি হয় সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি’র কেন্দ্রীয় দপ্তরে। বিজেপি-আরএসএস ঘেঁষা বিএমএস ছাড়া বাকি ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সেখানে হাজির ছিলেন। বৈঠকে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা এক সুরে বলেন, দেশের অর্থনীতির যে হাল হয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষ আগামী দিনে আরও কাজ হারাবে। রুটি-রুজির এমন সঙ্কটে এর আগে মানুষকে কখনও পড়তে হয়নি। মূল্যবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া। এই অবস্থায় ব্যাঙ্ক, বিএসএনএল, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি ইত্যাদির মতো বিভিন্ন সংস্থা ও ক্ষেত্রকে যেভাবে নানা অজুহাতে ব-কলমে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার পথে এগতে চাইছে কেন্দ্রের সরকার, তাতে মানুষের সার্বিক সঙ্কট আরও বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলন ও ধর্মঘটের পথে নেমেছে। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে ধর্মঘট হয়েছে কয়েকদিন। সামনে রয়েছে কয়লা ও ব্যাঙ্ক শিল্পের ধর্মঘট। দেশের বর্তমান বাতাবরণে যেভাবে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে, তাতে সরকারের সম্বিৎ ফেরাতে সেই ধর্মঘটের পথই বেছে নিয়ে সরাসরি সংঘাতের রাস্তায় যেতে হবে।
এদিনের আলোচনায় ঠিক হয়, আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের কোনও দিন এই ধর্মঘট ডাকা হবে। যদিও দু-একটি সংগঠনের তরফে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই ধর্মঘট ডাকার পক্ষে সওয়াল করা হয়। তাদের যুক্তি ছিল, ডিসেম্বরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে শ্রমিক বিরোধী আরও কিছু বিল পাশ করানোর পরিকল্পনা রয়েছে মোদি সরকারের। তাই সেই সময় ধর্মঘট করাই বাঞ্ছনীয় হবে। তবে অধিকাংশ সংগঠন জানুয়ারিতে ধর্মঘট করার পক্ষপাতী। এই অবস্থায় ২৬ তারিখ আইএনটিইউসি’র সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নেতৃত্ব। খোলা কনভেনশনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর ধর্মঘটের সমর্থনে এবং মোদিবিরোধী প্রচারে দেশ জুড়ে জোরদার কর্মসূচি নেবে তারা। সংগঠনগুলির মদতদাতা রাজনৈতিক দলগুলি এই ধর্মঘটে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে কোনও সংশয় নেতৃত্বের মধ্যে নেই। তবে তারা আগের অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে এবারেও বিজেপি বিরোধী তামাম রাজনৈতিক শক্তিকেই এই সমর্থনের জন্য আহ্বান জানাবে বলে জানা গিয়েছে।