হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
এ ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সহ-সভাপতি তথা বাঁকুড়ার এমপি ডাঃ সুভাষ সরকার বলেছেন, ‘প্রত্যেক এমপিরই তাঁর এলাকার মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ থাকা উচিত। নিজের এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিয়মিত মত আদানপ্রদানও অবশ্যই করা উচিত। এই চিন্তাভাবনা থেকেই বিজেপি সাংসদ বার্তা কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে। শুধুমাত্র এলাকার মানুষের সঙ্গে মত আদানপ্রদান আরও ভালোভাবে করতে পারা যাবে বলেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত, আমরা তাঁদের কাছেও পৌঁছতে চাইছি।’ বিজেপির অন্দরের খবর, ‘সাংসদ বার্তা’য় সংসদের একটি ‘কোয়েশ্চেন আওয়ারে’র আবহ তৈরি করতে চাইছেন বিজেপি এমপিরা। যেখানে এলাকা সংক্রান্ত যে কোনও বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট এমপিকে প্রশ্ন করবেন বাসিন্দারা। আর এমপিরা তার জবাব দেবেন। একইসঙ্গে এলাকার কোনও বাসিন্দা যদি উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চান শুধুই প্রশ্ন না করে, তাহলে তাঁকে সেই সুযোগও দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিজেপি এমপিরা তুলে ধরবেন কেন্দ্রের তিন তালাক বিল, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ, জিএসটির মতো একাধিক বিষয়। এবং বোঝাবেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উল্লিখিত সিদ্ধান্তগুলিতে আখেরে সাধারণ মানুষেরই ভালো হবে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। দলের অন্দরের খবর, এই ১৮টি কেন্দ্রেই ‘সাংসদ বার্তা’ করবেন দলীয় এমপিরা। আর যে ২৪টি লোকসভা আসনে বিজেপির এমপি নেই, সেখানে অন্য কোনও নাম দিয়ে কার্যত এরকমই কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। বিজেপির এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘সাংসদ না থাকলে তো আর সাংসদ বার্তা সম্ভব নয়। তাই যেখানে দলের এমপি নেই, সেখানে সংসদীয় বার্তা বা সংসদের বার্তা এরকম কোনও নাম দিয়ে আমরা কর্মসূচি চালাব। উদ্দেশ্য একই থাকবে। জনসংযোগ এবং এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আরও বেশি একাত্ম হওয়া।’ তবে দলীয় এমপি না থাকা কেন্দ্রগুলিতে সংসদের বার্তা কিংবা সংসদীয় বার্তা আয়োজনের সময় দলের কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্যস্তরের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে আসা হতে পারে বলে খবর।