আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
এদিন ২০ হাজার ৪২২ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেই বাজেট প্রস্তাবের উপর আলোচনা করেন কংগ্রেসের কমলেশ চট্টোপাধ্যায় ও অসিত মিত্র, সিপিএমের সুজিত চক্রবর্তী ও আনিসুর রহমান, তৃণমূলের বঙ্কিম হাজরা, নার্গিস বেগম, নির্মলচন্দ্র মণ্ডল, রহিমা মণ্ডল, শীতল সর্দার ও সওকত মোল্লা। বিরোধী সদস্যদের বক্তৃতায় বার বার ফিরে আসে কাটমানি প্রসঙ্গ। কাটমানির জন্য প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তার গুণগত মান খারাপ হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। নার্গিস বেগম বলেন, একশো দিনের কাজে কর্মদিবস তৈরিতে বাংলা সব রাজ্যকে টেক্কা দিয়েছে। সুজিত চক্রবর্তী বলেন, জীবিকা সেবকরা ২৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তাঁদের বকেয়া বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
কংগ্রেসের অসিত মিত্র সুব্রতবাবুর উদ্দেশে বলেন, আপনি বা আপনার দপ্তরের উদ্যোগ আছে, কিন্তু নিচুতলায় দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। শৌচালয় তৈরি না হলেও পেমেন্ট হয়ে গিয়েছে। বহরমপুর ব্লক ভেঙে দু’টি ব্লক করার দাবি জানান তিনি। এই দাবিকে সমর্থন করে পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, আমরা বড় ব্লক ভেঙে দু’টি করে দিই। নদীয়ায় করেছি। বহরমপুরে করার প্রস্তাব রয়েছে। কেউ বলতে পারবে না, গ্রামবাংলায় উন্নতি হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন, উন্নয়ন যেন শুধু শহরকেন্দ্রিক না হয়, গ্রামবাংলায় উন্নয়ন করতে হবে। আমরা সেদিকে নজর দিয়ে কাজ করে চলেছি। বাম আমলে দিল্লিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, গ্রামবাংলায় সব রাস্তা হয়ে গিয়েছে। আমরা পরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাস্তা আদায় করেছি। যে কাজ আমরা করেছি, তাতে গ্রামবাংলার উন্নয়ন আজ ইতিহাস। গ্রামীণ সড়ক যোজনায় রাস্তা ৫.৫ মিটার চওড়া করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে শ্রমদিবসের সংখ্যা হল ৩৩ কোটি ৮৫ লক্ষ। পারিবারিক কাজের দিন ৭৭। তবে এখন সম্পদ সৃষ্টি করাই লক্ষ্য। বাংলা সড়ক যোজনায় ২০১০ সালে রাজ্যে হয়েছিল দু’হাজার কিমি রাস্তা। সেখানে গত সাত বছরে তৈরি হয়েছে ৫১১১ কিমি রাস্তা। আমরা চাই আর্থিক সমাজব্যবস্থা পরিবর্তন করতে। সে কারণে গ্রামবাংলায় পঞ্চায়েত দপ্তর কাজ করে চলেছে। জীবিকা সেবকরা বিআরজিএফ প্রকল্পে টাকা পেত। সেই প্রকল্পই এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সব প্রকল্পেই তার অনুদানের পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছে। যে কোনও প্রকল্পে ৫০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বাকি টাকা দেয় রাজ্য সরকার।