আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
বেসরকারি পরিবহণের মালিক সংগঠনগুলি সূত্রের খবর, গত বছরের ৮ জুন শেষবার পরিবহণের ভাড়া বাড়িয়েছিল রাজ্য। মালিকদের দাবি, তার পর থেকে বাস-ট্যাক্সি চালানোর খরচ ক্রমেই বেড়ে গিয়েছে। বিশেষত, কিছু দিন আগেই ইনসিওরেন্সের প্রিমিয়াম বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই এক লাফে ডিজেলের দাম বাড়ানো হল। কেন্দ্রীয় বাজেটে পেট্রল-ডিজেলের ‘এক্সাইজ ডিউটি’ এবং ‘রোড অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেস’-এর প্রস্তাব করা হয়েছিল। তার উপর অন্যান্য কর মিলিয়ে ডিজেলের দাম শহরে ২ টাকা ৩৬ পয়সা বেড়েছে। ভাড়াবৃদ্ধি ছাড়া এই ‘ক্ষত’ নিরাময়ের কোনও রাস্তা খোলা নেই বলেই দাবি মালিকদের।
এদিন যে বৈঠকটি হয়েছে, তার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিমল গুহ। বৈঠকের পর বিমলবাবু বলেন, একতরফা ভাবে ব্যয় বাড়বে, আর ভাড়া একই জায়গায় থাকবে, তা কেমন করে সম্ভব? এইভাবে চলতে থাকলে তো বহু মালিক আগামী দিনে পরিষেবাই দিতে পারবেন না। তাই, ভাড়াবৃদ্ধি জরুরি। আমরা সার্বিকভাবে বাস-ট্যাক্সির ২৫ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির দাবি করছি। তার জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে। জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স-এর নামে আমাদের বক্তব্য আজ চিঠির আকারে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারির কাছে জমা দেওয়া হবে। আশা করি, রাজ্য সরকার আমাদের দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবে।
বিমলবাবুর ডাকা এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি, লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন (ওয়েস্ট বেঙ্গল) সহ একাধিক সংগঠনের নেতারা। লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন (ওয়েস্ট বেঙ্গল)-এর সম্পাদক সৈকত পাল বলেন, আমাদের সদস্যরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে গাড়ি ভাড়ায় দেন। এই ধরনের গাড়ির ভাড়া ২০০৮ সালে শেষবার বেড়েছিল। গত কয়েক বছরে আমাদের ব্যয় বেড়েছে ৩০০ শতাংশ। সেই অনুযায়ী আমরা ৩০০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির দাবি করছি।
জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স-এর মধ্যে না থেকে পৃথকভাবে বৈঠকে বসতে চলেছেন জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট সহ কয়েকটি বাস মালিক সংগঠনের নেতারা। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ট্যাক্সি আর বাসের সমস্যা এক নয়। তাই আমরা পৃথকভাবে বৈঠক করছি। আগামী ১০ জুলাই বৈঠক হবে। তবে মঙ্গলবার আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারিকে চিঠি দেব। আমাদের দু’টি মূল দাবি। প্রথমত, রাজ্যের কাছে আমাদের আর্জি, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারে চাপ সৃষ্টি করুক রাজ্য। দ্বিতীয়ত, ভাড়া বৃদ্ধি করা হোক। ডিজেলকে জিএসটির মধ্যে আনার দাবিও রয়েছে আমাদের। আশা করছি, বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হবে।