আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
পিএফ খেলাপি সংস্থাগুলিকে শায়েস্তা করতে দাওয়াই বাতলেছিল কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। বলা হয়েছিল, যে সংস্থা কোনও এক মাস পিএফের টাকা জমা করবে না, তাদের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। সেই মতো জারি হয় নির্দেশিকাও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই পদক্ষেপ করতে পারেনি তারা। তবে দপ্তর সূত্রে খবর, এরাজ্যে কর্মচারীদের থেকে পিএফ কেটে নিয়ে, তা পিএফ অফিসে জমা দিচ্ছে না, এমন সংস্থার সংখ্যা ১৫ হাজার ৫১০। এর মধ্যে সিংহভাগই দীর্ঘদিন ধরে জমা করছে না পিএফ। এক মাসের উপর জমা করছে না, এমন সংস্থা রয়েছে ৪ হাজার ৭৭০টি। দু’থেকে তিন মাস বাকি পড়ে আছে, এমন সংস্থা রয়েছে ১ হাজার ৫৪৮টি। বাদবাকি সবাই এরাজ্যে চার মাস বা তার বেশি সময়ের ‘ডিফল্টার’। কেন্দ্রের কাছে এই হিসেবই পাঠানো হয়েছে, এমনটাই খবর। সর্বভারতীয় হিসেবেও অবশ্য এই সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক। চার মাস বা তার বেশি দিন ধরে পিএফের টাকা দপ্তরে জমা না করার তালিকায় আছে মোট ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ২১০টি সংস্থা। কম বা বেশি সময় ধরে দেশে পিএফ খেলাপির মোট সংখ্যা ২ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৪৯টি।
সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক ও কর্মচারীদের সামাজিক সুরক্ষা বাড়াতে সাম্প্রতিককালে একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নেয় এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। পিএফের সঙ্গে যুক্ত জীবনবিমায় গ্রাহকের ‘কভারেজ’ বা ক্ষতিপূরণের অঙ্ক বাড়ানোর পাশাপাশি টাকা পাওয়া সহজ করতে একগুচ্ছ প্রশাসনিক পদক্ষপ নেওয়া হয়। ন্যূনতম পেনশন বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়। তা যাতে আরও বাড়ানো যায়, তার জন্য উদ্যোগ শুরু করেছে দপ্তর। এরই মাঝে কর্মচারীদের স্বার্থবিরোধী কাজ করা সংস্থার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন পিএফ দপ্তর।
চারমাসের বেশি পিএফ খেলাপি সংস্থার সংখ্যা
বারাকপুর ১২৫১
দার্জিলিং ৭৮
দুর্গাপুর ১৫৯৫
হাওড়া ১০০৬
জলপাইগুড়ি ৪৬৯
জঙ্গিপুর ৫৪৭
কলকাতা ২৫৬৮
পার্ক স্ট্রিট ৪১৩
শিলিগুড়ি ১০১১
পোর্ট ব্লেয়ার ১৮৭