আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের ফার্স্ট স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টে তাঁরা অংশ নেন। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বেসরকারি বিদ্যালয়ে তাঁরা আরবি ভাষার শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন। অভিযোগ তুলেছিলেন, শূন্যপদের নিরিখে তৃতীয় পর্যায়ের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া নিয়ে। ওই বিষয়ে স্নাতকোত্তর যোগ্যতা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়ের শেষে জেনারেল ক্যাটিগরির ওয়েটিং লিস্টে প্রথম জন ষষ্ঠ এবং ওবিসি-এ ক্যাটিগরিতে অষ্টম স্থানে ছিলেন। দ্বিতীয় জন তালিকায় ছিলেন যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে।
তাঁদের আইনজীবী প্রহ্লাদ ঘোষ ও সুবীর হাজারা আদালতকে জানান, ওই দুই বিষয়ে দু’টি শূন্যপদ বর্তমান। কারণ, তালিকায় এই দু’জনের আগে থাকা প্রথম সুপারিশ পাওয়া দুই ব্যক্তি চাকরিতে যোগ দেননি। তার পরের দু’জন যে দুই বিদ্যালয়ে শূন্যপদ রয়েছে, সেখানে যেতে নারাজ। এই অবস্থায় মামলকারীদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা উচিত। অথচ, কমিশন তা করছে না। উল্টে, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কাউন্সেলিংয়ের যে তালিকা কমিশন প্রকাশ করেছে, সেখানে মামলাকারীদের নাম নেই। তাই অবিলম্বে এঁদের নাম ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
জবাবে কমিশনের তরফে বলা হয়, ওয়েটিং লিস্টে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের নাম যথা সময়ে কাউন্সেলিংয়ের জন্য সুপারিশ করা হবে। এই অবস্থায় মামলকারীদের আইনজীবীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, প্যানেলের মেয়াদ বজায় থাকতেই কমিশন যাতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করে, তেমন নির্দেশ দেওয়া হোক। কারণ, প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে ওই শূন্যপদগুলি পরের বছরের জন্য ঠেলে দেওয়া হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে আদালত ওই প্যানেল থেকে অবিলম্বে শূন্যপদগুলি পূরণের নির্দেশ দেয়। সেই সূত্রে ১৮ জুন কমিশন মামলকারীদের নাম যথাক্রমে উত্তর ২৪ পরগনার কানিয়ারা চন্দ্র হাইস্কুল ও রামপুরহাটের কাষ্ঠগোরা আর এন হাইস্কুলের আরবি শিক্ষক হিসেবে সুপারিশ করে। ২৭ জুন তাঁরা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।