আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে যে ১৪টি ইএসআই হাসপাতাল রয়েছে, তার মধ্যে ১৩টিই ইএসআই স্কিমের আওতায় রয়েছে। অর্থাৎ এই ১৩টি হাসপাতালের অর্থনৈতিক কাজকর্ম কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের (ইএসআইসি) অধীনে থাকলেও এগুলির প্রশাসনিক দায়ভার সম্পূর্ণভাবে থাকে রাজ্য সরকারের উপর। ইএসআই স্কিমের আওতায় থাকা রাজ্যের এই ১৩টি হাসপাতাল হল মানিকতলা, শিয়ালদহ, বজবজ, গৌরহাটি, ব্যান্ডেল, দুর্গাপুর, আসানসোল, বাল্টিকুড়ি, উলুবেড়িয়া, কামারহাটি, কল্যাণী, শ্রীরামপুর এবং বেলুড়। এবং রাজ্যের একটি ইএসআই হাসপাতাল রয়েছে ইএসআইসি অর্থাৎ ইএসআই কর্পোরেশনের আওতায়। যেখানে হাসপাতালের প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক দায়ভার দুটোই সরাসরি থাকে কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের হাতে। সেটি হল জোকা ইএসআই হাসপাতাল। কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগম সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি এবং হলদিয়ার এই দুটো নতুন হাসপাতাল ইএসআই স্কিম, নাকি ইএসআই কর্পোরেশনের অধীনে থাকবে, তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নয়।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার এদিন লিখিতভাবেই জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশে মোট ৩৭টি নতুন ইএসআই হাসপাতাল তৈরি হতে চলেছে। সবথেকে বেশি ইএসআই হাসপাতাল তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশকে। ছ’টি। এছাড়া ছত্তীশগড়ে চারটি, গোয়ায় একটি, হিমাচলপ্রদেশে একটি, হরিয়ানায় দুটো, ঝাড়খণ্ডে একটি, কর্ণাটকে চারটি, কেরলে একটি, মধ্যপ্রদেশে একটি, ওড়িশায় তিনটি, রাজস্থানে তিনটি, তামিলনাড়ুতে তিনটি, তেলেঙ্গানায় একটি এবং উত্তরাখণ্ডে চারটি নতুন ইএসআই হাসপাতাল তৈরি করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ধোঁয়াশা রয়েছে দিল্লিতে নতুন ইএসআই হাসপাতাল তৈরি নিয়ে।
এই মুহূর্তে দেশের যেসব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ১০ জন কর্মী রয়েছেন, সেই সংস্থাগুলি ইএসআইসির আওতায় থাকে। ওই কর্মচারীদের মধ্যে যাঁরা মাসে সর্বোচ্চ ২১ হাজার টাকা বেতন পান, তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবেই এই সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির পরিষেবা পান। সম্প্রতি ইএসআই গ্রাহকদের মাসিক প্রদেয় অর্থের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। মাসিক সাড়ে ছ’শতাংশ থেকে কমে হয়েছে চার শতাংশ। আগে এমপ্লয়িজ কন্ট্রিবিউশন দিতে মাসে ১.৭৫ শতাংশ হারে। এমপ্লয়ার্স কন্ট্রিবিউশনের হার ছিল মাসিক ৪.৭৫ শতাংশ। গত ১ জুলাই থেকে কন্ট্রিবিউশনের নয়া হার ধার্য হয়েছে যথাক্রমে ০.৭৫ শতাংশ এবং ৩.২৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী আজ লিখিতভাবে জানিয়েছেন, মাসিক কন্ট্রিবিউশনের হার কমে যাওয়ায় প্রায় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ গ্রাহক সরাসরি উপকৃত হবেন।