বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
পাশাপাশি, ভোটারদের ভোটদানের সুবিধার জন্যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ন্যূনতম সুবিধা যাতে থাকে তা নিশ্চিত করার কড়া নির্দেশ কমিশনের তরফে দেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটদাতাদের জন্যে ছাউনি, শৌচাগার, পরিশুদ্ধ পানীয় জলের বন্দোবস্ত রাখতেই হবে। সেইসঙ্গে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভোটারদের জন্যে র্যা ম্প সহ যাবতীয় ব্যবস্থাও রাখতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভোটারদের কথা ভেবে এই প্রথমবার ভোটার স্লিপে ব্রেইল প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্তও কমিশন নিয়েছে। ভোটারদের কাছে ওই ফটো ভোটার স্লিপও গাইড বইয়ের সঙ্গেই দিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র ডেপুটি ইলেকশান কমিশনার উমেশ সিনহা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভোটারদের জন্যে কমিশনের তরফে গাইড বই তৈরি করা হচ্ছে। তাতে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য থাকবে। ভোটগ্রহণের ন্যূনতম পাঁচদিন আগে ওই ভোটার গাইড ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ভোটদাতাদের জন্যে ন্যূনতম সুবিধা বহাল করতে বলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের অতিরিক্ত সুবিধা বহাল করতে বিশেষ বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। ভোটারদের নাম তোলা, নাম পরিবর্তন, কোনও সমস্যা নিয়ে অফিসারদের সঙ্গে কথা বলার জন্যে আগেই একটি হেল্পলাইন নম্বর ও বিশেষ ধরনের অ্যাপ হেল্পলাইন চালু করা হয়েছিল। বর্তমান সময়ে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের বহুল ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে ওই ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপে ভোটদাতার প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিসংক্রান্ত সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই পথে হেঁটেই এবার ভোটারদের জন্যে আরও সুবিধা করে দিতে বিশেষ গাইড বই প্রকাশের সিদ্ধান্ত কমিশন নিয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিশেষ ধরনের পুস্তিকায় ভোটদানের জন্যে যাবতীয় নির্দেশিকা রাখা হবে। প্রত্যেক পুস্তিকায় নির্দিষ্ট ভোটারের জন্যে তাঁর ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়া যাবে কোন পথে, সেই নির্দেশিকা পর্যন্ত নক্সার আকারে সংযুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কমিশন নিয়েছে। ওই ভোটার গাইড বুকে আরও একাধিক প্রয়োজনীয় তথ্য রাখা হবে। জানা গিয়েছে, ভোট গ্রহণের দিন থেকে সময়, প্রয়োজনে কার কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাবে সেই সব নম্বরও ওই গাইড বইতে রাখা হবে। একজন ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কি করতে পারবেন বা পারবেন না, সেই নির্দেশিকাও গাইড বইতে থাকবে। গাইড বইতে বুথ লেভেল অফিসারের ফোন নম্বর থেকে নির্বাচন কমিশনের একধিক গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট ব্যবহারের নির্দেশিকাও রাখা হচ্ছে। এই গাইড বুক আঞ্চলিক ভাষায় প্রকাশ করে নির্বাচনের অন্তত পাঁচ দিন আগে সমস্ত নথিভুক্ত ভোটদাতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে। কমিশনের জেলা অফিসারদের একাংশের দাবি, এই সব নথির মাধ্যমে ভোটদাতার কাছে যেমন প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা যাবে তেমনি গোটা বিষয়টি তাঁর কাছে অতিরিক্ত আকর্ষকও হবে।
পাশাপাশি, প্রত্যেক বুথে ভোটারদের ন্যূনতম সুবিধা বলবৎ করার জন্যে কড়া নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক বুথে পানীয় জল, ছাউনি, শৌচাগার এবং বিশেষ করে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভোটারদের জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখতেই হবে।