বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার অভিযোগ করেন, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দু’দিনের জন্য আসবে, আবার চলে যাবে। তিনি এই মন্তব্য করে নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা। একইরকম ভাবে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে। অবশ্য নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, সব রাজনৈতিক দলের বক্তব্য দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যে দু’জন নেতার বক্তব্য নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেই বক্তব্য দিল্লি জানতে চাইলে, তার ভিডিও ফুটেজ পাঠানো হবে।
এদিনের বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সি। বিজেপির পক্ষে ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার ও প্রভাকর তেওয়ারি। বামফ্রন্টের পক্ষে ছিলেন রবীন দেব, সুখেন্দু পাণিগ্রাহী, সুকুমার ঘোষ প্রবীর দেব প্রমুখ। কংগ্রেসের পক্ষে ছিলেন দেবব্রত বসু ও প্রশান্ত দত্ত। কমিশনের পক্ষে ছিলেন সিইও আরিজ আফতাব, অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মণ, অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু, অতিরিক্ত সিইও অমিত রায়চৌধুরী প্রমুখ।
বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ থাকলে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তার খরচ দেবে কে? কী ধরনের সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে হবে? প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি বুথের ভিভিপ্যাট কেন পরীক্ষা করা হবে? প্রতিটি বুথের ভিভিপ্যাট-এর ফলাফলের সঙ্গে ইভিএমের ফলাফল মিলিয়ে দেখতে হবে। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, গুন্ডাদমন ও অস্ত্রউদ্ধারে বিশেষ নজর দিতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।
সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, সাত দফায় ভোট হওয়ায় ভোটের দিন সীমানা সিল করতে হবে। মৃত এবং এলাকায় থাকেন না এমন ভোটারের নামের তালিকা রাজনৈতিক দলের হাতে তুলে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দায়িত্ব পুলিস সুপারের হাতে রাখলে চলবে না। কংগ্রেসের দেবব্রত বসু বলেন, ২০১১ সালের মতো এবার সুষ্ঠুভাবে ভোট করতে হবে। রাজ্যস্তরের মতো জেলাস্তরেও নির্বাচন ঘোষণার তিনদিনের মধ্যে জেলাস্তরে সর্বদলীয় বৈঠক করতে হবে।