গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ফলতার গঙ্গার ধারে থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এ নিয়ে আলাপ হচ্ছিল এক সিপিএমের কর্মীর সঙ্গে। তাঁর কথায়, এখানে কোনও বাক স্বাধীনতা নেই। সিপিএম-এর সঙ্গে এখনও যুক্ত জানলে শাসকবাবুদের লোকজন গলার টুঁটি চেপে ধরবে। এই ধরণের পরিস্থিতিতে এবার প্রার্থী জোটের কোন দল থেকে হবে, তা নিয়ে ফয়সলা হচ্ছে না। এর কারণ কংগ্রেসের অযৌক্তিক আবদার। এই কেন্দ্র এমনিতে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস কবলিত। এর ভিতর দাঁড়িয়ে লড়াই করতে হলে সিপিএমের এখনও সাংগঠনিক যতটা দক্ষতা রয়েছে, কংগ্রেসের তা নেই। আর যখনই জোট প্রার্থী শরিক দলের হবে, তখন পুরো কাজের দায়িত্ব সিপিএমের ঘাড়ে এসে বর্তাবে। গত বিধানসভা ভোটে ফলতায় কংগ্রেসের রেজ্জাক মোল্লা জোট প্রার্থী হয়েছিলেন। ওদের লোক নেই। সিপিএমেরই সকলকে ময়দানে নামতে হয়েছিল। ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন থেকে যাবতীয় উপকরণ সিপিএমের কার্যালয়ে জমা করা থাকতো। আমাদের লোকজনকেই তা টাঙাতে হয়েছে। এবারও লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের কেউ প্রার্থী হলে, এত ঝক্কি কেন নেব আমরা? ময়দানে নেমে যাঁরা কাজ করি, তাঁরা জীবন বাজি রেখে কেন ভোটে কাজ করতে যাবো? কেন আমাদের দলের কোনও প্রার্থীকে এই কেন্দ্রটি দেওয়া হবে না? এটাই এখন আমাদের দলের অধিকাংশর বক্তব্য। নোদাখালির এক সিপিএমের হোলটাইমার বলেন, আমরা জোট শরিক কংগ্রেসের বিরোধিতা করছি না। কিন্ত কেন কংগ্রেস এই কেন্দ্র চাইছে? তার উপর ওই দলের সভাপতির বয়স অনেক বেশি। তাঁর নাম নিয়ে কেন চাপাচাপি করা হচ্ছে? মহেশতলা, ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের সিপিএমের অনেকেই এই সুরে সুর মিলিয়েছেন।
এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার (পশ্চিম) কংগ্রেসের সভাপতি মনোরঞ্জন হালদার বলেন, নিন্দুকরা এটা নিয়ে অপপ্রচার করছে। এটা স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছি, আমার বয়স ৭৮। তাই প্রার্থী হওয়ার ধকল নিতে পারবো না। বিশেষ করে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে তো নয়ই। আর মথুরাপুর কেন্দ্র কংগ্রেসকে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে, ডায়মন্ডহারবার নয়। কারণ ওই জায়গা আমার কাজের ক্ষেত্র অনেকদিন ধরে। কিন্ত ডায়মন্ডহারবার নিয়ে কখনও আবদার করিনি। কারণ ওই কেন্দ্র সম্পর্কে আমার ততটা জানা নেই। তবুও আলোচনার পর যদি প্রদেশ নেতৃত্ব তা দেয়, তা হলে আমাদের কাজ করতে হবে।