সংবাদদাতা, বনগাঁ: কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ও তাঁর আত্মীয়কে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। নেশার দ্রব্য চেয়ে না-পাওয়ায় তারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, অভিযুক্তরা বিজেপি কর্মী। তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে, গাইঘাটা ব্লকের ধরমপুর-১ পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনায় পাঁচজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে তারা। যদিও বিজেপির অভিযোগ, ভোটের আগে মিথ্যা অভিযোগ আনছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার দুপুরে এলাকায় রং খেলা উপলক্ষ্যে মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠান করছিল কয়েকজন যুবক। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেখানে মদ খাওয়া চলছিল। মদ্যপ অবস্থাতেই কয়েকজন দুখীরাম মণ্ডলের কাছে নেশার দ্রব্য চাইতে যায়। তিনি তা দেননি। তখন অভিযুক্তরা তাঁকে মারধর করে। সেইসময় পঞ্চায়েত সদস্য সুরজিৎ মণ্ডল তাঁকে বাঁচাতে যান। তখন তাঁকেও মারধর করা হয়। দুখীরাম ও সুরজিৎ খুড়তুতো ভাই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবারের মহিলাদেরও মারধর করা হয় বলে পুলিস অভিযোগ পেয়েছে। কটূক্তিও করা হয় তাঁদের তাঁদের উদ্দেশে। এই ঘটনায় কয়েকজন জখম হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাঁদেরকে ঠাকুরনগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবশ্য ছেড়েও দেওয়া হয় তাঁদের।
পঞ্চায়েত সদস্য সুরজিৎ মণ্ডল পাঁচজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই জিৎ মণ্ডল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। বাকিদের খোঁজে পুলিসি তল্লাশি চলছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও অভিযুক্তরা সুরজিৎকে হুমকি দিয়েছিল। তিনি বলেন, ভোটে প্রার্থী হতেই ওরা আমাকে নানাভাবে হেনস্তা করত। এদিন তারাই দাদা দুখীরামকে মারধর করে। আমি ঠেকাতে এলে আমাকেও মারধর করে ওরা।
তবে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। তিনি বলেন, এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। ভোটে হার নিশ্চিত জেনেই বিজেপির নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলা শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।