গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বুধবার প্রথম ভোটারদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব কমিউনিকেশন (সিবিসি)। পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী ও উপ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুব্রত পাল উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন সিবিসির ডিরেক্টর পার্থ ঘোষ। অরিন্দম নিয়োগী ও সুব্রত পাল নির্বাচনী প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটি বুঝিয়ে বলেন। সেই কর্মশালায় সরোজিনী নাইডু কলেজ ফর উইমেন’এর প্রথম বর্ষের ছাত্রী লাবণ্য ভারতী এসেছিলেন। ‘কোন লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার তিনি?’ এই প্রশ্নের উত্তরে খানিক আমতা আমতা করলেন। পাশের এক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলেন। তারপর লাবণ্য বললেন, ‘আমি তো দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা। এখানে পড়তে এসেছি।’ তাঁর কেন্দ্রে কারা প্রার্থী হয়েছেন? সে বিষয়েও তাঁর কোনও আগ্রহ নেই বলে জানালেন। ‘ভোট দিতে যাবেন?’ এর উত্তরে বললেন, ‘প্রথমবার ভোট দেওয়ার মধ্যে একটা উত্সাহ আছে ঠিকই। কিন্তু মনে হয়, ওই সময় পরীক্ষা থাকবে। তাই ভোট দিতে যাওয়া হবে না।’ লাবণ্যর বান্ধবী এণাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও জানেন না তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের নাম। তিনিও জানেন না প্রার্থীদের নাম। ‘প্রার্থীদের কাছে কী দাবি এনাক্ষীর?’ প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখেন না। পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য ভাবা দরকার।’ এঁদের পাশাপাশি সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ছাত্র ইজাজ মণ্ডল ও রণজিত্ দোলুই এসেছিলেন। তাঁরা ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তর ধারনা রয়েছে। দু’জনেই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার। ইজাজ বললেন, ‘রাজনীতিতে অভিজ্ঞ এমন মানুষকেই লোকসভাতে চাই। যিনি আমাদের সমস্যাগুলি তুলে ধরতে পারবেন। যিনিই আসুন না কেন, তিনি যেন মানুষের পাশে থাকেন।’
এদিন প্রথম ভোটারদের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় বুঝিয়ে দেন নির্বাচন কমিশনের দুই আধিকারিক। পড়ুয়াদের একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন। একাধিক মোবাইলের অ্যাপের বিষয়েও বলেন। জানান, ‘ভোটারস হেল্পলাইন’-এর মাধ্যমে সহজেই তালিকায় নাম তোলা যায়। ‘সি ভিজিল’ অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারেন ভোটাররা। এছাড়া কমিশনের তৈরি করা ভিডিও দেখানো হয় ভোটারদের। সবশেষে ছিল ক্যুইজ ও ম্যাজিক।