কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ডানকুনি মাইতিপাড়া, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে অঙ্কুরহাটি, কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে নিবড়া, সলপ সহ একাধিক জায়গায় ক্যাম্প করা হয়েছে। ব্রিগেডে যাতায়াতকারী কোনও ব্যক্তি অসুবিধায় পড়লে তাঁদের সাহায্যে এই এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। শেষের দিকে যে গাড়িগুলি দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে কলকাতায় যাওয়ার চেষ্টা করবে, তারা যদি কোনও কারণে ঢুকতে না পারে, তাদের কথা মাথায় রেখেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে বড় এলসিডি স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে। দ্বিতীয় হুগলি সেতু পার্মানেন্ট টোল প্লাজা ইউনিয়নের সভাপতি শ্যামল মিত্র বলেছেন, যাঁরা ব্রিগেডে পৌঁছতে পারবেন না, তাঁরাও যাতে দলনেত্রীর ভাষণ শোনা থেকে বঞ্চিত না হন, তার জন্য আমরা এই স্ক্রিন লাগাচ্ছি। এছাড়াও যে গাড়িগুলি কলকাতায় ঢুকতে পারবে না, সেগুলি দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছেই পার্কিং করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাধারণ গাড়ি যাতায়াতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, আমরা সেদিকেও নজর রাখছি। জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরূপ রায় বলেন, শুধু হাওড়া জেলা থেকে যে লোক ব্রিগেডে যাবে, তাতে অর্ধেক মাঠ ভরে যাবে। এবার যা লোক সমাগম হবে, তা অতীতের সব রেকর্ডকে ম্লান করে দেবে। বৃহস্পতিবার থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ আসতে শুরু করেছে। হাওড়ায় যাঁরা থাকবেন, তাঁদের থাকা-খাওয়ার যে জায়গাগুলি করা হয়েছে, সেগুলি আমি নিজে ঘুরে দেখেছি। হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি (গ্রামীণ) পুলক রায় বলেন, শনিবার ভোর থেকেই জেলার গ্রামীণ অংশ থেকে লোকজন ট্রেন ও বাসে করে ব্রিগেডের দিকে রওনা দেবেন। সকাল ১০টার মধ্যে সবাইকে ব্রিগেড পৌঁছে যেতে বলেছি।
প্রতি বছর ২১ জুলাই বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও উত্তরবঙ্গের কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা হাওড়ায় করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। উত্তর হাওড়ায় শ্যাম গার্ডেনে অধিকাংশ কর্মীকে রাখা হবে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ধর্মশালা ও অনুষ্ঠান বাড়ি নেওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁদের রাখা হবে। উত্তর হাওড়ার ১৪টি ওয়ার্ডে প্রতিটি বাড়ি থেকে দু’টি করে রুটি ও ২০ থেকে ৫০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে। দুপুরে এবং রাতে ওই রুটি ও ভাতের সঙ্গে মুরগির মাংসের ঝোল খাওয়ানো হবে। গোটা উত্তর হাওড়া থেকে ৫০ হাজার রুটি সংগ্রহ করা হয়েছে। শনিবার ডিমের ঝোল আর রুটি দেওয়া হবে। শনিবার সকালে সবাইকে প্যাকেট দিয়ে দেওয়া হবে। তাঁরা খাবারের প্যাকেট নিয়ে ব্রিগেডের দিকে রওনা দেবেন। রাতেই তাঁরা ট্রেন ধরে ফিরে যাবেন। সেই কারণে রাতের জন্য কোনও ব্যবস্থা রাখা হয়নি। কর্মীদের থাকা ও খাবারের দায়িত্বে থাকা উত্তর হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম চৌধুরী বলেন, মানুষের কাছে সামান্য চাঁদা নিয়ে আমরা রুটি, ভাত ও চিকেনের ব্যবস্থা করেছি। ভিনজেলা ও ভিনরাজ্য থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের কোনও রকম অসুবিধা হবে না।