আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে মোরাঘাটের জঙ্গল অন্যতম। চারটি বিট সহ প্রায় ছ’হাজার হেক্টর জঙ্গলে হাতি, চিতাবাঘ, হরিণ, বাইসন, বুনো শুয়োর, ময়ূর সহ বিভিন্ন পশুপাখির বিচরণ। এই সমস্ত পশুপাখি তৃষ্ণা মেটায় জঙ্গলের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া হাতিনালা, আম্বার মতো ঝোরার জলে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে চৈত্র, বৈশাখ মাসে ব্যাপক গরম পড়ায় ঝোরাগুলির জল শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে জঙ্গলে জলের অভাব দেখা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হচ্ছে। এখনই বৃষ্টি না হলে জলসঙ্কট দেখা দেবে। জল না মিললে পশুপাখিরা জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসতে পারে বলে আশঙ্কা। এতে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সঙ্ঘাত বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পশুপ্রেমী বিভিন্ন সংগঠনের দাবি, জঙ্গলের ভিতর জল থাকলে পশুপাখিরা তৃষ্ণা মেটানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের শরীর ঠান্ডা রাখতে স্নান করে। মোরাঘাট বনাঞ্চল সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা রমাপদ মুন্ডা বলেন, গত দু’তিন বছর থেকে দেখা যাচ্ছে, গরমকালে মোরাঘাট জঙ্গলে থাকা ঝোরাগুলি শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই কখনও কখনও লোকালয়ে হাতি, বাইসন চলে আসছে। সম্প্রতি বাইসনও চলে আসে।
ডুয়ার্সের একটি পরিবেশপ্রেমী সংস্থার সম্পাদক কৌশিক বাড়ুই বলেন, এই সমস্যা সমাধানে জঙ্গলে কৃত্রিম জলাশয় বাড়াতে হবে। না হলে সমস্যা দিনদিন বাড়বে। ডুয়ার্সের আরও একটি সংগঠনের অন্যতম কর্মকর্তা নফসর আলি বলেন, জঙ্গলের ঝোরাগুলি শুকিয়ে যাওয়া জঙ্গলের পক্ষে অশুভ সঙ্কেত। দ্রুত বনদপ্তরের এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা উচিত।
যদিও মোরাঘাটের রেঞ্জার রাজকুমার পাল বলেন, জঙ্গলে যেসব নদী, ঝোরা থাকে, সেগুলি পশুপাখির তৃষ্ণা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট। এছাড়াও কৃত্রিম জলশয় বানিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের এখানে কয়েকটি কৃত্রিম জলাশয় সংস্কার করা হচ্ছে।