গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, তারা ইতিমধ্যেই পিএফের ন্যূনতম পেনশন এক হাজার টাকা করেছে। যদিও সেই টাকা পান না প্রায় ৩০ লক্ষ বয়স্ক মানুষ। এই সামান্য টাকায় যে কোনওভাবেই সংসার চালানো যায় না, তা সকলেই জানেন। তাই পেনশনের অঙ্ক মাসিক সাড়ে সাত হাজার টাকা করা, তার সঙ্গে ডিএ যুক্ত করা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ সহ অন্য কিছু দাবিতে আন্দোলন করছে ইপিএস-৯৫ পেনশনভোগীদের ন্যাশনাল অ্যাজিটেশন কমিটি। সংগঠনের কর্তারা জানাচ্ছেন, মহারাষ্ট্রের বুলদানায় প্রায় ছ’বছর ধরে রিলে অনশন চলছে। কিন্তু তাকেও আমল দেয়নি কেন্দ্র। তাই এবার ভোটের সময়ই সাধারণ মানুষকে বিষয়টি সম্পর্কে সজাগ করার উদ্যোগ নিচ্ছেন প্রবীণরা। ঠিক কী করবেন তাঁরা?
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তপন দত্ত বলেন, আমরা গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় এবং হিন্দিতে পোস্টার দেব। তার মাধ্যমে কিছু বার্তা দেওয়া হবে। তার মূল বিষয়, ভর্তুকি এবং ঋণ মকুব শুধুমাত্র কর্পোরেট সংস্থাগুলির জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে। মোটা অঙ্কের পেনশন পাবেন কেবল রাজনৈতিক নেতারাই। বাকিদের ‘আত্মনির্ভর’ হতে হবে। অর্থাৎ বৃদ্ধ বয়সে যেখানে সামাজিক সুরক্ষা প্রয়োজন লক্ষ লক্ষ নাগরিকের, সেখানে তাঁদের দেখার কেউ নেই। আমরা এই ধরনের পোস্টার-ব্যানারে ছয়লাপ করব সর্বত্র, যাতে সাধারণ মানুষ আমাদের যন্ত্রণার কথা ভোট দেওয়ার আগে বুঝতে পারেন।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং যাদব ভোটে দাঁড়াচ্ছেন রাজস্থান থেকে। যেহেতু বাস্তবে তিনি পেনশন বাড়াতে কোনও উদ্যোগ নেননি, তাই তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে প্রবলভাবে এই সংক্রান্ত প্রচার করবেন প্রবীণরা। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে প্রচারের কথাও ভাবছেন তাঁরা। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ হয়ে হেমা মালিনী যেভাবে তাঁদের পাশে থেকেছেন এবং লাড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন, তাই তাঁর কেন্দ্র মথুরায় প্রবীণরা তাঁকে জেতানোর জন্য সচেতনতার প্রচার করবেন, এমনটাই জানা গিয়েছে।