নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২০২৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে দেশের সব রাজ্যে বিধানসভা ভোট করার সুপারিশ করেছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি। লোকসভা ও বিধানসভার ভোট একইসঙ্গে কীভাবে সম্পন্ন হবে, সেটা অবশ্য ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন। প্রিসাইডিং অফিসারদের দেওয়া নির্দেশিকা পুস্তিকায় একসঙ্গে দুটি ভোট গ্রহণের পদ্ধতি বিস্তারিত জানানো হয়েছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে অরুণাচলপ্রদেশ, সিকিম, ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভার ভোট নেওয়া হবে। এছাড়া বিভিন্ন রাজ্যে ২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন। এর মধ্যে রয়েছে বাংলায় বরানগর ও ভগবনগোলা। এসব জায়গায় বিধানসভা  ও লোকসভার ভোট একত্রে নেওয়া  হবে। 
শুধু লোকসভার ভোট হলে প্রতি বুথে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে চারজন পোলিং অফিসার থাকবেন। সঙ্গে বিধানসভার ভোটও থাকলে কমিশন পঞ্চম পোলিং অফিসার নিয়োগ করবে। বিধানসভা ভোটের ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করবেন পঞ্চম পোলিং অফিসার। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে দুটি আলাদা ঘেরাটোপের ছোট কক্ষের মধ্যে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ইভিএম রাখা থাকবে। এর মধ্যে কোনটি লোকসভার জন্য ও কোনটি বিধানসভার জন্য তা লিখে রাখতে হবে বাইরে।
প্রিসাইডিং অফিসারদের উদ্দেশে দেওয়া গাইডলাইনের বক্তব্য, একজন ভোটার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে প্রবেশ করার পর প্রথম পোলিং অফিসারের টেবিলের সামনে যাবেন। তিনি নিয়মানুযায়ী ভোটারকে শনাক্ত করবেন।  এরপর ভোটার যাবেন অন্য টেবিলে  দ্বিতীয় পোলিং অফিসারের কাছে। তিনি ভোটারের বাঁ হাতের তর্জনীতে কালি লাগাবেন। স‌ই বা টিপসইও নেবেন দ্বিতীয় পোলিং অফিসার। এরপর একই টেবিলে তৃতীয় পোলিং অফিসার ইস্যু করবেন ভোটার স্লিপ। যে কেন্দ্রে একইসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভার ভোট হচ্ছে, সেখানে  সাদা ও গোলাপি রঙের দুটি স্লিপ ভোটদাতাকে দেওয়া হবে। 
ভোটদাতা এরপর প্রথমে যাবেন লোকসভা ভোটের ইভিএম চালাবার দায়িত্বে থাকা চতুর্থ পোলিং অফিসারের কাছে। তিনি ভোটারের কাছ থেকে সাদা রঙের স্লিপটি নিয়ে ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিটটি চালু করবেন। ভোটার এরপর লোকসভার জন্য চিহ্নিত ইভিএমে বোতাম টিপে ভোট দেবেন। ওই কক্ষ থেকে বেরিয়েই তিনি পঞ্চম পোলিং অফিসারের কাছে যাবেন এবং গোলাপি স্লিপটি জমা দেবেন। তারপর বিধানসভা কেন্দ্রের ‌ই঩ভিএম চালু হবে এবং ভোটার তাঁর ভোটটি দেবেন।