উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
আর্থিকভাবে পঙ্গু হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির হাল ফেরাতে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্পটি গুটিয়ে ফেলতে হবে। যেসব কর্মী বা অফিসাররা ওই প্রকল্পের আওতায় আসতে ইচ্ছুক, তাঁরা ওই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। বিএসএনএলের কর্মী বা অফিসার বা যাঁরা এখান থেকে অন্য কোথাও ডেপুটেশনে গিয়েছেন, তাঁদের বয়স ৫০ বছর হলে ওই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে। এই মুহূর্তে সংস্থার কর্মী ও অফিসারের সংখ্যা দেড় লক্ষেরও বেশি। স্বেচ্ছাবসরের যে শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তার আওতায় পড়তে পারেন এক লক্ষের বেশি কর্মী ও অফিসার। সরকার চায় দপ্তরের অন্তত অর্ধেক কর্মী-অফিসার ওই প্রকল্পের আওতায় আসুন। বেতন ও মজুরি খাতে যে খরচ করে সংস্থাটি, তার বহর সাত হাজার কোটি টাকা কমানোই উদ্দেশ্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির। কিন্তু স্কিমটি চালু হওয়ার পর থেকেই যেভাবে স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে, তাতে বেকায়দায় সংস্থাটি। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কর্মচারী ও অফিসার মিলিয়ে বিএসএনএলে ৫৭ হাজার ব্যক্তি প্রকল্পের আওতায় আসতে চেয়ে আবেদন করেছেন। এমটিএনএল’কে এর সঙ্গে মেশালে সেই সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে দপ্তর চলবে কী করে? ডট-এর কর্তারা বলছেন, ইতিমধ্যেই আসন্ন সঙ্কট নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর যাতে পরিষেবায় কোনও খামতি না থাকে, বিশেষত এক্সচেঞ্জগুলি যাতে কর্মীর অভাবে মুখ থুবড়ে না পড়ে, তার ব্যবস্থা করতে হবে, এমনটাই বিএসএনএলকে জানিয়েছে দপ্তর। সংস্থার সিএমডি পি কে পুরওয়ার জানিয়েছেন, তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে আলোচনাস্তরে আছেন। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প চালু হয়ে গেলে কর্মী ও অফিসারের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে। কিন্তু যাঁরা থাকবেন, সেই সংখ্যাটাও কম নয়। ফলে কাজ চালাতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সেক্ষেত্রে কর্মসংস্কৃতির ধারা বদলাতে হবে। সিএমডি’র কথায় স্পষ্ট, সংস্থার কর্মীদের একাংশের আসি যাই, মাইনে পাই মন্ত্রে এতদিন সংস্থাটি চলেছে এবং পরিষেবা তলানিতে এসে ঠেকেছে, তার বদল না হলে বাঁচানো যাবে না বিএসএনএলের গরিমা।