সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
দু’ সপ্তাহ অতিক্রান্ত। কিন্তু, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে জটিলতা এখনও অব্যাহত। এই অবস্থায় শরিক বিজেপির বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগল শিবসেনা। সরকার গড়ার জন্য ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারেনি অমিত শাহের দল। তবে, সদ্য সমাপ্ত ভোটে তারাই সবচেয়ে বেশি আসন (১০৫টি) দখল করেছে। তা সত্ত্বেও কেন বিজেপি সরকার গঠনের দাবি জানাচ্ছে না, তা নিয়ে শিবসেনার দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’-র সম্পাদকীয়তে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। উদ্ধব থ্যাকারের দল জানিয়েছে, গোয়া ও মণিপুরে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দলকে সরিয়ে বিজেপি সরকার গড়েছে। আর সকলেই জানেন যে, রাজ্যপালের সক্রিয় সহযোগিতার ফলেই তা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু, মহারাষ্ট্রে বিজেপি একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। তা সত্ত্বেও তারা কেন সরকার গঠনের দাবি জানাচ্ছে না?
একইসঙ্গে, সামনার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন দখল করেছে। তাই রাজ্যপাল তাদের সরকার গড়তে আহ্বান জানাতে পারেন। এবং বিজেপিরও এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নেই। পাশাপাশি, রাজ্যে দ্রুত নতুন সরকার তৈরির আবেদন জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, শনিবারই মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
রাজ্যে ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। বাগ-বিতণ্ডার জেরে দু’দলের মধ্যে দূরত্বও অনেকটাই বেড়েছে। শুক্রবারও, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারে পরস্পরকে কড়া ভাষায় দুষেছেন। এদিকে, শনিবার সামনায় বিজেপিকে সমালোচনা করে লেখা হয়েছে, শিবসেনাকে ছাড়া মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন সম্ভব নয়। কিন্তু, বিজেপি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চাইছে না। এটা কী ধরনের রাজনীতি? আমরা কোনওভাবেই এই নোংরা রাজনীতির অংশ হতে পারব না। অন্যদিকে, শিবসেনার সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করা হবে বলে বিজেপি যে দাবি করছে, তারও সমালোচনা করা হয়েছে সামনায়। উদ্ধবের দলের মতে, ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে বিজেপি নিশ্চিত করে কিছুই বলছে না। তাহলে, জোট গঠনের সময় এই নিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তার কী হবে?
প্রসঙ্গত, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এরপরই শিবসেনাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। ফড়নবিশ জানান, জোট সরকার গঠন করার জন্য সমস্ত রকমভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, উদ্ধব থ্যাকারের দলের জন্যই তা সম্ভব হয়নি।