আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
এদিন সিপিএমের বিধায়ক রামশঙ্কর হালদার প্রশ্ন করেন, দেশে নোট বাতিলের পর কর্মচ্যুত কতজন পরিযায়ী শ্রমিককে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে? জবাবে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের বহু শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন ওই নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর। তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ‘সমর্থন’ নামে একটি প্রকল্প তৈরি করেছেন। তাতে ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। এ রকম আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন ১৮,৮৪০ জন। মোট কত টাকা দেওয়া হয়েছে, রামশঙ্করবাবুর প্রশ্নের উত্তরে শ্রমমন্ত্রী জানান, ৯৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।
এরপর রামশঙ্করবাবু প্রশ্ন করেন, কিসের ভিত্তিতে এই শ্রমিকদের নির্ধারণ করা হল? মন্ত্রী বলেন, জেলাশাসকদের কাছে পেশ হওয়া আবেদনের ভিত্তিতে এগুলি ঠিক করা হয়েছে। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কোনও সঙ্কটাপন্ন শ্রমিক জেলাশাসকের কাছে আবেদন না করলে সহায়তা পাবেন না? এ রাজ্যের কতজন শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজ করতে যান, তার কোনও নির্দিষ্ট হিসেব আছে? জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছে। শ্রম দপ্তর তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে। দুর্যোগ বা নানা কারণে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে সঙ্কটে পড়েন। তাই নির্দিষ্ট তালিকা থাকলে সুবিধা হবে।
হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডল বলেন, হলদিয়ায় দুটি কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাবে শ্রমমন্ত্রী বলেন, গত আট বছরে কোনও কারখানা বন্ধ হয়নি। সাসপেনশন অব ওয়ার্ক হয়েছে। আমরা আলোচনা শুরু করলে কিছুদিন পরেই তা খুলে যায়। কারখানা বন্ধ কথাটা ঠিক নয়। তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতির্ময় করের প্রশ্নের জবাবে মলয় ঘটক বলেন, শ্রমিক ও তাঁর পরিবারের চিকিৎসার জন্য ইএসআই হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে ইন্ডোর ও আউটডোর পরিষেবা রয়েছে। আমরা হলদিয়া ও শিলিগুড়িতে নতুন দুটি ইএসআই হাসপাতাল তৈরি করছি। মুখ্যমন্ত্রী শ্রমিক ও তাঁর পরিবারের জন্য সামাজিক মুক্তিকার্ড চালু করেছেন। যেখানে দুর্ঘটনায় পড়লে ৫০ হাজার টাকা থেকে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। সংগঠিত ও অসংগঠিত শ্রমিকের পাশে আছে সরকার।