আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
১৯৮০ সালে একটি অগ্নিকাণ্ডের পর সেসময়ের রাজ্য সরকার এই স্টুডিও অধিগ্রহণ করে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেটি ছিল মহানায়ক উত্তমকুমারের প্রয়াণের বছর। টেকনিশিয়ান্স স্টুডিও প্রাইভেট লিমিটেড নামটা বাম আমলেই দেওয়া হয়। ২০১১ সালে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পরে জরুরি ভিত্তিতে টেকনিশিয়ান্স স্টুডিও সংস্কারে হাত দেয়। আগে এই স্টুডিওর দু’টি ফ্লোর ছিল। সংস্কার করে সেখানে আরও চারটি ফ্লোর তৈরি হয়। এবার এই বিল অনুযায়ী, এই স্টুডিও পরিচালনার জন্য একটা স্পেশাল বোর্ড তৈরি হবে। তার একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। সেই চেয়ারম্যান হবেন তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত অন্য কোনও মন্ত্রী। উল্লেখ্য, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই রয়েছে। ওই বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে মনোনীত করবে রাজ্য সরকার। চারজন সরকারি অফিসার সেখানকার সদস্য থাকবেন। তাঁরা হলেন অর্থ সচিব, তথ্য সংস্কৃতি সচিব, দু’জন যুগ্ম সচিব পর্যায়ের অফিসার। এছাড়া তিনজনকে বোর্ডের সদস্য হিসেবে সরকার মনোনীত করবে। এদিন আলোচনায় বিলের পক্ষে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। সিপিএমের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বাম সরকারের আমলেই এই স্টুডিওর উন্নয়নের কাজ হয়েছিল। তখন অনেক বেশি সিনেমার শ্যুটিং হত। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বক্তব্য, আগে সিনেমার বেশিরভাগ শ্যুটিং ইন্ডোরে হতো। এখন আউটডোরে বেশি হয়। সেজন্য হয়তো সিনেমার শ্যুটিং সেখানে কিছুটা কমেছে। তিনি বলেন, টেকনিশিয়ান্স স্টুডিওতে স্ট্যাটিউটরি সমস্যা হচ্ছিল। সেজন্য বোর্ড তৈরি করা হল। এদিন রাজ্যে বিরোধী বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা বিলটিকে তড়িঘড়ি পাশ না করিয়ে বিধানসভার সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি করে। ভোটাভুটিতে বিরোধীদের এই দাবি খারিজ হয়ে যায়। বিজেপি অবশ্য ভোটাভুটিতে বিরত ছিল। এরপর তা পাশ হয়ে যায়।