আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
সেফ ড্রাইফ সেভ লাইফের মতো ধারাবাহিক প্রচার কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যের জল অপচয় রোধ করতে উদ্যোগী প্রশাসনিক আমলারা। মঙ্গলবার রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। নির্দেশিকা পেয়েই বীরভূমের জেলাশাসক এদিন বিকেলে জেলার ১৯টি ব্লকের বিডিওদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেছেন। যাতে যত বেশি সংখ্যক মানুষ এই প্রচার অভিযানে অংশ নিতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে শহরাঞ্চলে জল অপচয় বেশি হলেও শহরগুলিকে এই প্রচার অভিযান থেকে বাইরে রাখা হয়েছে। কেন এমন সিদ্ধান্ত তা অবশ্য জানাতে পারেননি জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জল সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে রাজ্যজুড়ে জল অপচয় নিয়ে প্রচার অভিযানে নামা হচ্ছে। ১২জুলাই সেভ ওয়াটার ডে হিসেবে দিনটি প্রতিটি ব্লকে পালিত হবে। সেভ ওয়াটার সেভ লাইফ স্লোগান সামনে রেখে সর্বস্তরে প্রচার করা হবে যাতে জল অপচয় বন্ধ হয়।
ক্রমশ আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। বৃষ্টিপাত অনিয়মিত, হু হু করে নামছে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর। ইতিমধ্যেই দেশের নানা প্রান্তে জলসঙ্কট শুরু হয়েছে। তামিলনাড়ু রাজ্যের জল সঙ্কট রীতিমতো আলোড়ন ফেলেছিল। কিন্তু এখনও নানা প্রান্তে জলের অপচয় হয়েই চলেছে। যদিও বাংলার জল ধরো জল ভরো কর্মসূচি এই মুহূর্তে দেশজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু এতেই থেমে না থেকে জল অপচয় আটকাতে কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রচার যুদ্ধে নামছে রাজ্য সরকার। এদিনই প্রতিটি জেলাশাসকের সঙ্গে রাজ্যস্তরের উচ্চপদস্থ আমলারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তারমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ১২জুলাই দিনটি ‘সেভ ওয়াটার ডে’ হিসেবে ঘোষণা করা। প্রতি বছরই ওই দিনটি সেভ ওয়াটার ডে হিসেবে পালিত হবে। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার ওই দিনটিতে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করছে রাজ্য সরকার। জল অপচয় রোধের নানা বার্তা দিয়ে প্রতিটি ব্লক থেকেই একাধিক সুসজ্জিত ট্যাবলো বের হবে। এর পাশাপাশি ব্লকে ব্লকে র্যালি হবে। প্ল্যাকার্ড হাতে ছাত্রছাত্রী থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা মিছিল করবে। প্রশাসনের সব দপ্তরের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি থাকবে পুলিসও। তারা জলের অপচয় নিয়ে প্রচার করবে। জল অপচয় হলে যে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জল নাও পেতে পারে। সেবিষয়েও ওয়াকিবহাল করা হবে। এই কর্মসূচিকে এতটাই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যে ওইদিন এই কর্মসূচি নিয়ে কলকাতায় হাঁটবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
বীরভূমের নানা প্রান্ত এমনিতেই খরাপ্রবণ। বিভিন্ন ব্লকে জলসঙ্কট রয়েছে। এখন এভাবে জলস্তর নামতে থাকলে ব্লকের বাকি অংশেও এই সমস্যা শুরু হবে। তাই জল বাঁচানো অভিযান জেলার ১৯টি ব্লকেই জোর কদমে করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে রাজ্যের শহরাঞ্চল যেখানে সবচেয়ে বেশি জল অপচয় হয়, সেখানে এই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে না। যা একান্ত প্রয়োজন ছিল। কারণ শহরাঞ্চলে পাইপ লাইনের জল অপচয় প্রায়শই দেখা যায়।