বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকালের পর রহিতের ভাই বল নিয়ে খেলা করছিল। পাশেই একটি পুকুর ছিল। খেলতে খেলতে সে ওই পুকুরে পড়ে যায়। কিছুটা দূরেই দাঁড়িয়েছিল রহিত। সে দেখে, ভাই জলে ডুবে গিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। সে কী করবে এই ভেবে প্রথম হকচকিয়ে যায়। কিন্তু, এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে সে ভাইকে বাঁচানোর জন্য ওই সঙ্গে সঙ্গে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। নিজের পিঠে করে তুলে ভাইকে উদ্ধার করে। তারপর তাকে পুকুরের পাড়ে এসে তোলে। কিন্তু, পুকুর থেকে সে নিজে উঠতে গিয়ে আচমকা পুকুরে পড়ে গিয়ে তলিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে। ওইদিনই সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ হাবড়া থেকে তাকে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থা ভাল না থাকায় তাকে সিসিইউ’তে ভর্তি করা হয়েছিল। বুধবার সকালে সে ছুটি পায়। তার বাবা রেজাউল মণ্ডল ও মা রাবিয়া বিবির হাত ধরে সে নিজের বাড়িতে ফেরে।
বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ সুব্রত মণ্ডল বলেন, ওই কিশোরের পেটে প্রচুর জল জমেছিল। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল এবং খিঁচুনিও হচ্ছিল। তাই ওকে সঙ্গে সঙ্গে সিসিইউ’তে ভর্তি করা হয়েছিল। মঙ্গলবারও সারাদিন সিসিইউ’তে রাখা হয়েছিল। রাতে জেনারেল বেডে স্থানান্তর করা হয়। সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ায় এদিন তাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরাও তার সাহসিকতার গল্প শুনে অবাক হয়েছি। ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে সে নিজে জলে ডুবে গিয়েছিল। তাই সে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় আমরাও খুশি।