বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
হাওড়ার বিভিন্ন পেশাদার শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, বছরের অন্যান্য সময় একটি ১৫ ফুট বাই ৪ ফুট দেওয়াল ভালো রং দিয়ে লিখতে গেলে কমপক্ষে ৫০০ টাকা খরচ হত। কিন্তু, ভোটের জন্য শিল্পীদের চাহিদা বেশি। তাই এই ‘উৎসবের’ মরশুমে শিল্পীরা তাদের ‘রেট’ও বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন ওই মাপের দেওয়াল লিখতে কমপক্ষে ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। আবার এই মাপের ফ্লেক্স তৈরির খরচ আবার দেওয়াল লিখনের চেয়েও বেশি। এই মাপের ফ্লেক্স তৈরিতে খরচ কমপক্ষে ৮০০ টাকা। এখন অবশ্য তার রেটও কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। তবে ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল ও সিপিএম দেওয়াল লিখতে যেমন গুরুত্ব দিয়েছে, আবার বিজেপি ফ্লেক্স তৈরিতেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব আগেই জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিটি বুথে দু’টি করে দেওয়াল লিখতেই হবে। সেই কথা মাথায় রেখে তৃণমূল নেতৃত্ব আগে থেকেই তার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আবার বিজেপির অভিযোগ, তাদের ‘দখল করা’ দেওয়ালগুলি তৃণমূল জোর করে নিয়ে নিয়েছে। তাই মানুষের কাছে তাদের বক্তব্য পৌঁছে দিতে ফ্লেক্সের উপরই বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে তারা।
হাওড়া জেলা বিজেপির সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেন, তৃণমূল জোর করে আমাদের ‘বুক করা’ দেওয়ালগুলিও দখল করে নিয়েছে। তাই আমরা ফ্লেক্স তৈরির উপরই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আর তৃণমূল তো এখন কর্পোরেট ধাঁচে পেশাদার শিল্পীদের দিয়ে দেওয়াল লেখায়। আমাদের ওত টাকা নেই। তাই আমরা ফ্লেক্স করছি। হাওড়া জেলা তৃণমূলের সম্পাদক (সদর) শ্যামল মিত্র বলেন, গোটা জেলায় আমরা দেওয়াল লিখনেই গুরুত্ব দিয়েছি। সেইমতো দেওয়াল লিখনের কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এখন নির্বাচন কমিশন নিয়ম করে দিয়েছে, যে দেওয়ালে লেখা হবে, তার মালিকের অনুমতি নিতে হয়। আমরা প্রত্যেকের অনুমতি নিয়ে দেওয়াল লিখছি। বিজেপি কোনও আইন মানে না। জোর করে দেওয়াল দখল করতে গিয়েছিল, মালিকরাই বাধা দিয়েছে। আর দেওয়াল লেখার চেয়ে ফ্লেক্সের খরচ বেশি। তাহলে কাদের কাছে বেশি টাকা আছে, তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। সিপিএমের জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, আমাদের কর্মীরাই দেওয়াল লেখেন। কোনও পেশাদার শিল্পী আমাদের দেওয়াল লেখেন না। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। এবারও আমরা দেওয়াল লেখা শুরু করে দিয়েছি।