হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক তথা কন্যাশ্রী প্রকল্পের নোডাল অফিসার অরিন্দম ভাদু্ড়ি বলেন, মেয়েদের অ্যানিমিয়া রোখার জন্য আমরা কন্যাশ্রীদের দিয়ে প্রচারের ভাবনা নিয়েছি। এক্ষেত্রে তারা নিজেদের পরিবারের পাশাপাশি নিজ এলাকাতেও সচেতনতা তৈরি করতে পারবে। অ্যানিমিয়ার বিষয়টি এলাকার মহিলাদেরও বোঝাতে পারবে। অ্যানিমিয়া প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সেটা একটা বড় কাজ হবে। পাশাপাশি বৃক্ষরোপণের পর তার পরিচর্যার বিষয়টিও স্কুলে স্কুলে গিয়ে কন্যাশ্রী বাহিনী বোঝাবে। জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিকদের বক্তব্য, কন্যাশ্রীরা জেলাজুড়ে বিভিন্ন কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সমাজের সচেতনতামূলক প্রচারের ক্ষেত্রে তারা অন্যতম মুখ হয়ে উঠছে। তাদের দিয়ে সামাজিক প্রচার চালালে তা ফলপ্রসূ হয়। তাই অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কন্যাশ্রীরা সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারে।
মালদহে বাল্য বিবাহ রোধ থেকে শুরু করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ হোক বা মিশন নির্মল বাংলা— একাধিক সরকারি কর্মসূচির ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কন্যাশ্রীরা এগিয়ে এসেছে। তাতে ভালো সাড়াও পড়েছে। বিশেষ করে মালদহের গ্রামীণ এলাকায় মহিলারা অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভোগেন। সচেতনতার অভাবে অ্যানিমিয়া প্রসূতিদের সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে ইতিপূর্বে অ্যানিমিয়া রোধে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হলেও তা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব হয়নি। ফলে সার্বিকভাবে মেয়েদের অ্যানিমিয়া সংক্রান্ত সমস্যা থেকেই গিয়েছে। সরকারি কর্তদের ধারণা, এনিয়ে সচেতনতা বাড়াতে মেয়েরাই সক্রিয় অংশ নিতে পারে। তাই জেলা প্রশাসন কন্যাশ্রীদের দিয়েই নিজ নিজ পরিবার সহ আশেপাশে এনিয়ে প্রচারের ভাবনা নিয়েছে। তাছাড়া বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হিসাবে বনদপ্তর থেকে যে চারা লাগানো হয়, অনেক সময়ে তা পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একবার বৃক্ষরোপণের পর সেই গাছগুলি নিয়ে আর খোঁজখবর নেওয়া হয় না। প্রশাসন বিভিন্ন স্কুলের কন্যাশ্রী বাহিনীকে দিয়ে বৃক্ষরোপণ এবং তার পরিচর্যার উপর জোর দিতে চাইছে।