সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
বর্তমানে যে পদ্ধতিতে স্কিন গ্রাফ্টিং করা হয়, সেখানে প্রাথমিক সাড়া মিললেও পরবর্তী সময়ে প্রায়শই তা মুখ থুবড়ে পড়ে। যা শরীরের মূল অংশের সঙ্গে মিশে যেতে পারে না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই পদ্ধতি ‘ব্যান্ড-এইড’ নামে পরিচিত। এবার স্কিন গ্রাফ্টিংয়ে বড়সড় সাফল্য পেল আমেরিকার রেনসেলার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক। মূল শরীরের টিস্যুর (কলা) চারিত্রিক গঠন ও বৈশিষ্ট্যকে হুবহু অনুকরণ করতে পারে এই থ্রি-ডি বায়োপ্রিন্টিং। বিজ্ঞানীদের এই চিকিৎসা পদ্ধতি ‘টিসু ইঞ্জিনিয়ারিং পার্ট এ’- জার্নালে প্রকাশ হয়েছে। ত্বক প্রতিস্থাপনের বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতির সবথেকে বড় ঘাটতি হল কার্যকারী সংবহনতন্ত্রের (ভাস্কুলার সিস্টেম) অভাব। যার ফলে তা শরীরের টিস্যুর চারিত্রিক গঠন ও বৈশিষ্ট্যকে হুবহু অনুকরণ করতে পারে না। এ প্রসঙ্গে গবেষকদলের প্রধান পঙ্কজ কারান্ডে জানিয়েছেন, ‘এই ব্যান্ড-এইড জখম স্থানকে সাময়িক সুস্থ করতে সক্ষম হলেও পরে তা ব্যর্থ হয়। যে কোষ সমষ্টি বা কলায় তা প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে, তার মধ্যে মিশে যেতে পারে না এটি।’
গবেষণায় বিজ্ঞানীদলটি আরও প্রমাণ পেয়েছে, নতুন এই থ্রি-ডি বায়োপ্রিন্টিংয়ে যদি রক্ত সংবহনতন্ত্রের অন্তর্বর্তী এন্ডোথেলিয়াল কোষ, পেরিসাইট কোষ (এন্ডোথেলিয়াল কোষকে আবরণীর মতো মুড়ে থাকা কোষ বিশেষ), কোলাজেন প্রোটিন এবং শরীরের কাঠামো গঠনে অন্যান্য কোষ যোগ করা হয়, তাহলে স্বাভাবিক নিয়মে কাজ করতে শুরু করে সেই গ্রাফ্টিং। এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তা নতুন সংবহনতন্ত্র গড়তে সক্ষম হয়। অভিনব এই চিকিৎসা পদ্ধতি এক বিশেষ প্রজাতির ইঁদুরের উপর ব্যবহার করেও ইতিবাচক ফল পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইয়েল স্কুল অব মেডিসিনের একদল গবেষক। পঙ্কজের কথায়, ‘আসলে নয়া এই পদ্ধতি কোষের মধ্যে রক্ত ও পুষ্টিগুণ সরবরাহ গ্রাফ্টিংকে জীবন্ত রাখে।’
গবেষণায় সাফল্য এলেও এখনই কাজে আসবে না এই থ্রি-ডি বায়োপ্রিন্টিং। এর জন্য গবেষক-বিজ্ঞানীদের দাতার কোষের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। যাতে সেই গ্রাফ্টিং রোগীর শরীরে স্বাভাবিক নিয়মে বেঁচে থাকতে পারে এবং মিশে যেতে পারে। পঙ্কজ কারান্ডে জানিয়েছেন, ‘আমরা এখনও সেই জায়গায় আসনি ঠিকই, তবে এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছি।’ পঙ্কজের দলের এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছে আমেরিকার সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইন্টারডিসিপ্লিনারি স্টাডিজ (সিবিআইএস)। সংস্থার অধিকর্তা দীপক বশিষ্ঠের কথায়, সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থায় নতুন দিশা দেখাবে এই থ্রি-ডি বায়োপ্রিন্টিং।