হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
গত ২২ জুলাই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে সবাইকে চমকে দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর এই বক্তব্যের পরেই শোরগোল পড়ে যায়। কংগ্রেস সহ প্রতিটি বিরোধী দল এই বিষয়ে সরকারের জবাব চায়। ট্রাম্পের মন্তব্যের পরেই অবশ্য মোদি সরকারের তরফে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়ে দেন, কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়নি। কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কোনও অনুরোধ প্রধানমন্ত্রী মোদি করেননি। মোদি সরকার স্পষ্টই জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর সহ যাবতীয় বিবদমান বিষয় দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই মেটানো হবে।
ভারতের এই কড়া অবস্থানের পরেই অবশ্য সুর নরম করে আমেরিকা। স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের বিষয়টি ভারত-পাকিস্তানের এক্তিয়ারভুক্ত। যদি দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ ওই সমস্যা সমাধানে তাঁর সাহায্য চায়, তবে তিনি তা করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি বলেন, ভারত স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছে, যাবতীয় বিবদমান বিষয় পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মেটানো হবে। শ্রিংলা এদিন জানান, কাশ্মীরের মধ্যস্থতা নিয়ে আমেরিকার অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হয়নি। আমেরিকার দীর্ঘদিনের নীতিই হল, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে ভারত ও পাকিস্তানকে উৎসাহ দেওয়া হবে। শ্রিংলা বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব গুতারেসও এ ব্যাপারে স্পষ্ট অভিমত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণা মোতাবেক ভারত ও পাকিস্তানের পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই ইস্যুর সমাধান হবে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেও মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র মর্গ্যান অরটাগাসও জানিয়েছিলেন, কাশ্মীর নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।