বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
সেই সঙ্গে এখনও জানা যায়নি, ঠিক কী কারণে বিমানটি আকাশে ওড়ার পরমুহূর্তেই ভেঙে পড়ল? তবে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের আধিকারিক টেওলডি গেব্রেমারিয়াম জানিয়েছেন, বিমানটি ওড়ার সময় সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। তবে টেকঅফ করার পরই ভার্টিক্যাল স্পিডে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল। সেটি ধরাও পড়েছিল এয়ার ট্রাফিক মনিটরে। এবং সেই কারণে পাইলট বিপদ সঙ্কেত বার্তা পাঠিয়েছিলেন। জরুরি অবতরণের জন্য তাঁকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছিল। এর বেশি কিছু এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আফ্রিকার সরকারি বিমান পরিবহণ সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তার প্রশ্নে যথেষ্ট আফ্রিকা মহাদেশ জুড়েই সুনাম রয়েছে এই সংস্থার। এদিন ১৪৯ জন যাত্রী ও আটজন বিমানকর্মীকে নিয়ে আদ্দাস আবাবা বিমানবন্দর থেকে আকাশে ওড়ে বোয়িং ৭৩৭-৮ ম্যাক্স বিমানটি। গন্তব্য ছিল কেনিয়ার নাইরোবি বিমানবন্দর। ওড়ার ছ’মিনিটের মধ্যেই সেটি ভেঙে পড়ে ডেব্রে জেইট শহরের অনতিদূরে হেজেরে এলাকার একটি মাঠে। ঘড়িতে তখন সকাল ৮ টা ৪৪ মিনিট (স্থানীয় সময়)। ঘটনাস্থল থেকে আদ্দিস আবাবার দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার গেব্রেমারিয়াম। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এয়ারলাইন্সের একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন গেব্রেমারিয়াম।
তিনি জানিয়েছেন, ওই অভিশপ্ত বিমানে পাইলট, সেবিকা, কর্মী মিলিয়ে মোট ১৫৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩২ জনই কেনিয়ার নাগরিক। কানাডার নাগিরক ছিলেন ১৮ জন। চীন, আমেরিকা ও ইতালির আটজন করে যাত্রী ছিলেন। ফ্রান্স ও ব্রিটেনের সাতজন করে। মিশরের নাগরিক ছিলেন ছ’জন। পাঁচজন ছিলেন নেদারল্যান্ডসের। ভারত ও স্লোভাকিয়ার চারজন করে যাত্রী ছিলেন ওই বিমানে। দুর্ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণের পর গেব্রেমারিয়াম জানিয়েছেন, খুব সম্ভবত কোনও যাত্রীরই বেঁচে থাকার সম্ভবনা নেই। তবে উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা বলা সম্ভব নয়।