বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
২৬/১১-এর মুম্বই হামলার পর জঙ্গি হানার মোকাবিলায় একের পর পদক্ষেপ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। প্রতিটি রাজ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে কমান্ডো বাহিনী। যারা সব ধরনের হামলার মোকাবিলা করতে সক্ষম। জঙ্গিদের হাতে পণবন্দি মানুষকে উদ্ধারেও এই বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ। সেই প্রশিক্ষণও তাদের রয়েছে। সেইসঙ্গে কেনা হয়েছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। বিশেষত বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতার চেষ্টা করা হলে, কীভাবে তার মোকাবিলা সম্ভব, তারজন্য আলাদা বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নত দেশের সহযোগিতায় নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন বাহিনীর অফিসাররা।
উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়া বিভিন্ন সময়ে হিংসার শিকার হয়েছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই দেশকে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হয়েছে। বারে বারে বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে ওই দেশ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। যে কারণে সেখানকার সরকারকে একাধিকবার বিপাকে পড়তে হয়েছে। একাধিক নাশকতার ঘটনা ঘটেছে সে দেশে। একদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট, অন্যদিকে, জঙ্গি হানার মোকাবিলায় আলাদা প্রশিক্ষিত বাহিনী গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য। যাতে বিক্ষুব্ধদের জমায়েতকে বলপ্রয়োগ না করে শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে দেওয়া যায়। অন্যদিকে নাশকতার মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।
এ সবের মোকাবিলায় ভারতের পদক্ষেপে আকৃষ্ট হয়েছে তিউনিসিয়া। সেই কারণেই কিছুদিন আগে এ নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠায়। যেহেতু এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি কেন্দ্রীয় সংস্থা ব্যুরো অব পুলিস রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট (বিপিআরঅ্যান্ডডি) দেখভাল করে, তাই তাদের কাছে এই প্রস্তাব পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থার কর্তারা কথা বলেন তিউনিসিয়ার প্রশাসনের সঙ্গে। বিদেশি রাষ্ট্রকে কোনও বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন ও নির্দেশিকা রয়েছে। সেগুলি তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে রাজি হওয়ার পরই বিপিআরঅ্যান্ডডি রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট ও সন্ত্রাস মোকাবিলায় কীভাবে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানো যায়, সেই প্রশিক্ষণই তাদের দিতে হবে। এই দুই প্রশিক্ষণে রাজ্যের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। অত্যন্ত কড়া এই প্রশিক্ষণপর্ব। এই বিষয়ে রাজ্যকে দ্রুত মতামত জানাতে বলা হয়েছে। যদি পশ্চিমবঙ্গ না পারে, তখন অন্য রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর।