সিডনি, ১০ মার্চ (এএফপি): তাঁর স্বামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের সবথেকে ক্ষমতাবান ব্যক্তি। তিনি যখন একজনের সঙ্গে কথা বলছেন, তিনি নিশ্চয়ই কোনও দেশের মন্ত্রী। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো মহিলা মন্ত্রীর স্ত্রী হবেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এমনটাই ভেবেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। তাই ওই মহিলাকে নিজের লেডিস’ লাঞ্চে ডেকেছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে ওই মহিলা ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তত্কালীন বিদেশমন্ত্রী, জুলি বিশপ। দু’বছর পর, শনিবার হাসতে হাসতে এই ঘটনার স্মৃতিচারণ করলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলি লিডার্স’ উইকে। সেখানে তত্কালীন অজি বিদেশমন্ত্রী জুলির সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁর পার্টনার ডেভিড প্যাটন। অনুষ্ঠানে কোনও কারণে ডেভিডের সঙ্গে কথা বলছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশে দাঁড়ানো মেলানিয়া তাঁকেই অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী ভেবে বসেছিলেন। তাই জুলিকে পরদিন তাঁর লেডিস’ লাঞ্চে আমন্ত্রণ জানান তিনি। আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে জুলি বলেছিলেন, ‘না, ডেভিড পার্টনারদের লাঞ্চে যাবে।’ তখনও বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি মেলানিয়া। তিনি ভাবতে বসেছিলেন, কেন অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পার্টনারদের লাঞ্চে যাবেন? অপ্রীতিকর এই পরিস্থিতি নিরসনে শেষপর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টকেই এগিয়ে আসতে হয়। তিনিই স্ত্রীকে জানান, জুলিই হলেন অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী, ডেভিড তাঁর পার্টনার। ঘটনাটি জানিয়ে হাসিতে ফেটে পড়েন জুলি বিশপ।
উল্লেখ্য, গত বছর ম্যালকম টার্নবুল প্রধানমন্ত্রী পদ হারানোর পরেই মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জুলি। তিনি এখনও লিবারেল পার্টির ডেপুটি লিডার। শনিবার অ্যাডিলেডে রক্ষণশীল রাজনীতিতে মহিলাদের গুরুত্বহীনতা শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর এই মজাদার সাক্ষাতের কথা সকলের সামনে তুলে ধরেছেন তিনি। পদত্যাগের পর থেকেই শীর্ষ নারী রাজনীতিকদের সঙ্গে হওয়া আচরণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। মহিলা না থাকার সমস্যা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান সংখ্যালঘু সরকারের মন্ত্রিসভাতেও। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন সম্প্রতি তাঁর মন্ত্রিসভায় মহিলাদের সংখ্যা বাড়ানোর পথে হেঁটেছেন। অ্যাডিলেডের অনুষ্ঠানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবটের মন্ত্রিসভাতেও একমাত্র মহিলা ছিলেন জুলি। সেই অভিজ্ঞতা একেবারেই সুখকর নয় বলেই এদিন জানিয়েছেন তিনি।