হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমাদের বাহিনী সারা ভারতের গর্ব। বাহিনীগুলির মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে, আমি আজ লালকেল্লা থেকে একটি বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে চাই। ভারত একজন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) পাবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাহিনীগুলি আরও কার্যকরী হয়ে উঠবে।’
উল্লেখ্য, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হবেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী বা বায়ুসেনার একজন ফোর স্টার অফিসার। বাহিনী এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমাত্র সংযোগ রক্ষাকারী হিসেবে তিনি তিন বাহিনীর প্রধানের মাথায় থাকবেন। জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বাজেট বরাদ্দে অগ্রাধিকার দেবেন তিনি। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের পর নিরাপত্তার ত্রুটি পর্যালোচনায় গঠিত কমিটি এই পদ সৃষ্টির সুপারিশ করেছিল। তবে সেক্ষেত্রে তাঁকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সেনা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কার্গিল পর্যালোচনা কমিটির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এই পদ তৈরির সুপারিশ করেছিল তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিগোষ্ঠী। তারপরেও গত ১৫ বছর ধরে বিষয়টি ফেলে রাখা হয়। প্রথম মোদি সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকার সময় সিডিএস পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিলেন মনোহর পারিক্কর। বর্তমান পরিকাঠামোয় চেয়ারম্যান অব দ্য চিফস অব স্টাফ কমিটি পদে রয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান বীরেন্দ্র সিং ধানোয়া। কিন্তু তিনি সিডিএসের পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা পাননি। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সামরিক কর্তারা।
দ্বিতীয় মোদি সরকার গঠনের ১০ সপ্তাহের মধ্যেই ৩৭০ ধারা বিলোপ, তিন তালাক বিল পাশের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, গত ৭০ বছরেও যা হয়নি, নতুন সরকার ৭০ দিনে সেই কাজ করে দেখিয়েছে। ৩৭০ ধারা নিয়ে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘যারা ৩৭০ ধারার পক্ষে কথা বলছেন, তাঁদের কাছে সারা দেশের প্রশ্ন, যদি এটি এতটাই প্রয়োজনীয় এবং জীবনে বদল আনার সহায়ক হয়, তাহলে ৭০ বছর ধরে এটিকে অস্থায়ী করে রাখা হয়েছিল কেন? কেন আপনারা এটিকে স্থায়ী করার ব্যাপারে আপনাদের বিপুল জনাদেশ ব্যবহার করেননি।’ ৩৭০ ধারার বিলোপ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের অখণ্ড ভারতের স্বপ্নপূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেও জানিয়েছেন মোদি। তাঁর কথায়, ‘এক দেশ, এক সংবিধান-এর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে এবং সারা ভারত এর জন্য গর্বিত।’ তিন তালাক বিলের সমর্থনে সতীদাহ এবং বাল্যবিবাহ রোধের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি।
ভারতের জনবিস্ফোরণ নিয়েও স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, এর ফলে আগামী প্রজন্ম বড় সমস্যায় পড়তে পারে। পরিবার পরিকল্পনাকে সত্যিকারের দেশপ্রেম বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি। মোদির কথায়, ‘জনবিস্ফোরণ নিয়ে জনসচেতনা এবং আলোচনা দরকার। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’ এই প্রথম পরিবার পরিকল্পনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে তৈরি হওয়া জল সমস্যার কথাও উঠে এসেছে তাঁর বক্তব্যে। মোদির স্বপ্নের নতুন ভারতে এই সমস্যা দূর করতে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।