আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
ওই তথ্য অনুসারে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে নিকাশির কাজ করতে গিয়ে অথবা সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে মোট ১৮ জন সাফাই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ১৩ জনের পরিবারকেই ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের ক্ষেত্রে পাঁচটি মৃত্যুর ঘটনায় এখনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া বাকি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের পেশ করা তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া সবথেকে বেশি বকেয়া রয়েছে খোদ নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতেই। ৫৩টি। গুজরাতে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিকাশি অথবা সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে ১৩১ জন সাফাই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে সবথেকে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুতে। ১৪৪টি।
কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রক লোকসভায় জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৬২০ জন সাফাই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ১১৭টি ক্ষেত্রেই ক্ষতিপূরণ প্রদান বকেয়া রেখেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি। আর আংশিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন ৫৮ জন মৃত সাফাই কর্মীর পরিবারের সদস্যরা। সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি বিভিন্ন সময় অভিযোগ করে, যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই সাফাই কর্মীদের সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের কাজে নিযুক্ত করা হয়। যার জেরে অনেক সময়ই এরকম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এদিন লোকসভায় কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রামদাস আথাওয়ালে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ‘১৯৯৩ সাল থেকে সারা দেশে নিকাশি পরিষ্কারের কাজ করতে গিয়ে যত সাফাই কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সবটাই চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবং এক্ষেত্রে মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।’
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন লিখিতভাবেই জানিয়েছেন, ‘২০১৮ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৭৯২ জন সাফাই কর্মচারীকে এই সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রশিক্ষণ পর্বে সুরক্ষায় ব্যবহৃত হাতের গ্লাভস, মাস্ক এবং জ্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাফাই কর্মীদের মধ্যে।’ সাফাই কর্মীদের সুরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম যাতে মানা হয়, তা দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির কাছেও আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্র।