আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
গতকাল লোকসভায় বাজেট বিতর্কের সময় বিজেপির পক্ষ থেকে কাটমানি নিয়ে কটাক্ষ উড়ে আসায় সরাসরি মোদির নাম করে আক্রমণ করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সুর বজায় রেখে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো আজ সংসদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বিজেপিকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দল বলে তোপ দাগল তৃণমূল। নোটবন্দির পর থেকে একমাত্র বিজেপিরই ভাঁড়ার ভরেছে বলেও মন্তব্য করলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান। আয়কর রিটার্ন এবং রাজনৈতিক দলগুলির আর্থিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে বলেন, দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দল হল বিজেপি। নির্বাচনে জলের মতো টাকা খরচ করেছে বিজেপি। এত টাকা এল কোথা থেকে? প্রশ্ন তুলে সরব হল টিএমসি।
কেবল মাঠে ময়দানের নির্বাচনী প্রচারেই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও যে বিজেপি কত টাকা ঢেলেছে, তার ইয়ত্তা নেই। তাই নির্বাচনে একটি দল কোটি কোটি টাকা খরচ করবে, আর তৃণমূলের মতো দল কোনওরকমে ভোট করবে, তা চলতে পারে না দাবি করে নির্বাচনী সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করল তৃণমূল। ডেরেক বললেন, তৃণমূল দলের জন্মলগ্ন থেকেই স্টেট ফান্ডিং অর্থাৎ সরকার ভোটের খরচ যোগাক বলে দাবি করে এসেছি। আজও তাই করছি।
অন্যদিকে, সংসদীয় কমিটিতে কোনও বিল না পাঠিয়ে সংসদের দুই কক্ষে গত কয়েকদিনে সরকার যেভাবে তা পাশ করিয়ে নিয়েছে তার তীব্র সমালোচনা করল তৃণমূল। বাজেটে যেভাবে কেন্দ্রের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিবাদ করে এদিন রাজ্যসভায় সভার যাবতীয় কাজ বাতিল করে আলোচনার দাবি করে জোড়া নোটিশ দেন মানসরঞ্জন ভুঁইয়া এবং দোলা সেন। কিন্তু সেগুলি গৃহীত হয়নি। তাই প্রতিবাদে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল এমপিরা। পরে ‘ওয়াক আউট’ও করে। তৃণমূলের রাজ্যসভার উপদলনেতা সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, এ তো গাজোয়ারি চলছে। সংখ্যাধিক্যের জোরে সংসদ সদস্যদের দুরমুশ করতে চাইছে বিজেপি। এভাবে চলতে থাকলে গণতান্ত্রিক ভারতের ভবিষ্যৎ ভয়ঙ্কর হতে চলেছে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।