ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
গত লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে অবিজেপি ঐক্য গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন মমতা। সেই লক্ষ্যেই ব্রিগেড প্যারেড ময়দানে কংগ্রেস সহ দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক দলকে একমঞ্চে হাজির করেছিলেন। ঘটনাচক্রে সেই ঐক্যপ্রয়াস সফল হয়নি। কিন্তু বিজেপি বিরোধী জেহাদে তাঁর অবস্থানে অটল মমতা এবার এনআরসিকে অস্ত্র করেছেন। তাঁর মতে, বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষ থেকেই বিজেপি এ রাজ্যেও এনআরসি প্রক্রিয়া চালু করতে চাইছে। ধর্মের বিভাজনই এনআরসি’র প্রধান উদ্দেশ্য। কোনও মতেই বাংলায় এই বিভাজন করতে দেবেন না। বিধানসভাতে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি তাঁর কট্টর বিরোধী রাজ্য কংগ্রেস ও বামপন্থীদের পাশে দাঁড় করাতে সমর্থ হয়েছেন। ফলে এনআরসিকে ঘিরে রাজ্যস্তরে রাজনৈতিক মেরুকরণে আপাতত সফল মমতা। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে তাঁর সংঘাতকে তীব্রতর করতে চান মমতা। যদিও কংগ্রেস ও বামেরা তাঁর সঙ্গে এই বিষয়ভিত্তিক ঐক্যের প্রশ্নে সহমত নয়। কিন্তু রাজ্যে সর্ববৃহৎ দল হওয়ায় এনআরসি নিয়ে মমতার ভূমিকা বাংলায় বাড়তি গুরুত্ব আদায় করে নেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলায় এনআরসির পক্ষে সরব হয়েছেন। বিধানসভা অধিবেশনে বিজেপির পরিষদীয় নেতা মনোজ টিগ্গা আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যে অনুপ্রবেশ রুখতে এনআরসির পক্ষে সওয়ালও করেছেন। বিজেপি-তৃণমূল সংঘাতের আবহেই মমতা এনআরসি রোখার দাবিতে জনমত গঠনে পথে নামছেন। উত্তর কলকাতার চিড়িয়ামোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের নানা প্রান্তে এনআরসি’র বিরুদ্ধে মিছিল করতে শুরু করেছে তৃণমূল। দলের শহিদ দিবসের কর্মসূচির পরপরই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির মাধ্যমে জনসংযোগ শুরু করেছে তৃণমূল। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাদের পথে নামতে দেখা যায়নি। সেই অর্থে লোকসভা ভোটের পর আগামী বৃহস্পতিবারই সরাসরি গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল।