ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সেখানে ফরওয়ার্ড ব্লকের সর্বভারতীয় নেতা দেবব্রত বিশ্বাস, দেবরাজন থেকে শুরু করে রাজ্য নেতৃত্ব নরেন চট্টোপাধ্যায়, হাফিজ আলম সইরানি, জয়ন্ত রায় প্রমুখ হাজির ছিলেন। বিশিষ্ট নেতাজি গবেষক জয়ন্ত চৌধুরী, নেতাজি পরিবারের সদস্য জয়ন্তী রক্ষিত প্রমুখ আমন্ত্রিত ছিলেন। সেখানে ছবির ট্রেলার দেখানোর পর সৃজিত বলেন, তিনি ছবিটি করেছেন নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে সরকারি স্তরে গঠিত মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টকে ভিত্তি করে। যে তিনটি তত্ত্ব নেতাজির রহস্যজনক অন্তর্ধান নিয়ে প্রচলিত রয়েছে, সে সম্পর্কে কমিশনের বক্তব্যকেই প্রাধান্য দিয়েছেন বলে দাবি সৃজিতের। ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য নেতা নরেনবাবুর মতে, ছবিটির বিষয়বস্তু যে মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে, তা জেনে তাঁরা আশ্বস্ত হয়েছেন। কেননা, ফরওয়ার্ড ব্লকের দাবিতেই ওই কমিশন গড়তে কেন্দ্র উদ্যোগ নিয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর নিহত হওয়ার খবরের সত্যতা যে তাইওয়ান সরকার অস্বীকার করেছে, তাও ছবি করার সময় মাথায় রেখেছিলেন বলে পরিচালক জানিয়েছেন। সেই কারণেই এদিন ছবির ট্রেলার দেখে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রত্যুত্তরে সৃজিত ছবিটি মুক্তি পেলে তা দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন তাঁদের। এদিন নেতাজি পরিবারের সদস্য জয়ন্তী রক্ষিত একমাত্র নেতাজিকে নিয়ে গুমনামি বাবা তত্ত্বের পক্ষে কিছুটা নমনীয় অবস্থান নিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, পারিবারিক সূত্রে কিছু চিঠিপত্র থেকে তাঁর মনে ধন্দ তৈরি হয়। অর্থাৎ গুমনামি বাবাই কি নেতাজি, এই বিতর্কে তিনি সেই সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। তাঁদের পারিবারিক ঘনিষ্ঠজন মনুভাই ভিমানির সঙ্গে গুমনামি বাবার আদানপ্রদান হওয়া চিঠি পড়ার পরেই তাঁর সংশয় জেগেছে বলে দাবি জয়ন্তী রক্ষিতের।