ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
রিপোর্ট বলছে, রেশনে গ্রাহকদের ভর্তুকি সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর (ডিবিটি) পাইলট প্রকল্প শুরু করে ইতিবাচক কোনও ফল হয়নি। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে গ্রাহকরা অনেক ক্ষেত্রেই রেশন দোকানের বদলে বাজার থেকে নিজের হিসেব মতো চাল, গম কিনছেন। নয়তো সেই টাকা অন্য খাতে খরচ করছেন। এতে আদতে দেশজুড়ে রেশন ব্যবস্থা যেমন অনিশ্চয়তার মুখে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, একইসঙ্গে সরকারের মজুত চাল, গমও পড়ে থেকে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। তাছাড়া ভর্তুকির টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে যাতায়াতের খরচও রয়েছে বলে নীতি আয়োগের মত।
তাই আপাতত ডিবিটির বিষয়টি রাজ্যগুলির উপরেই ছেড়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান বলেন, ‘সরকারের দেওয়া ভর্তুকির টাকা নাকি ব্যাঙ্ক তুলে অনেক গ্রাহক মদ্যপান করছেন বলেও রিপোর্ট পেয়েছি। তাই যে কাজে ডিবিটি, তাই যদি না হয়, তাহলে লাভ কী? ভর্তুকিতে খাদ্যশস্য দেওয়াই ভালো। পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশিরভাগ রাজ্যও তাই চায়। তাই ডিবিটি নিয়ে কোনও রাজ্যকে জোরাজুরি করা হবে না।’
ডিবিটি নিয়ে প্রথমেই আপত্তি তুলেছিলেন রেশন দোকানদারা। ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য ব্যবস্থা বজায় রাখার পাশাপাশি আধার সংযোগের সময়সীমা বাড়ানোর দাবিতে পাসোয়ানের সঙ্গে দেখা করেছে সারা ভারতের রেশন দোকানদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ারপ্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশন। বৈঠকের পর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘ডিবিটি বাতিলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়েছিলাম। আদতে দাবি মেটায় আমরা খুশি। কেন্দ্র বুঝেছে ভর্তুকির টাকা গণবণ্টন ব্যবস্থায় কাজে লাগবে না।’ বিশ্বম্ভরবাবু আরও বলেন, ‘৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রেশনে আধার সংযোগের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হোক বলেই অনুরোধ করেছি। আশা করি মন্ত্রী তা মানবেন।’
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন মোতাবেক যোগ্য (প্রায়োরিটি হাউসহোল্ড) গ্রাহককে রেশন দোকানের মাধ্যমে সস্তায় চাল, গম দিতেই হবে। আইনি অধিকার এটি। রেশনে ভর্তুকি পেতে আধার সংযোগ করতে হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। খাদ্যসুরক্ষা আইন অনুযায়ী রেশনের মাধ্যমে গ্রাহকরা তিন টাকা কিলো দরে চাল এবং দু’ টাকা কিলো দরে গম পান। প্রতি মাসে জনপ্রতি পাঁচ কিলো খাদ্যশস্য মেলে। আইন মোতাবেক এই প্রাপ্যের বাইরেও রাজ্যের মানুষের পাশে থাকতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আরও এক টাকা ভর্তুকি জুড়ে গ্রাহককে গমের মতোই চালও দু’ টাকা কিলো দরে দেয়।