বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বাজেটে বরাদ্দ অর্থ খরচের অনুমোদনের জন্য ব্যয়মঞ্জুরি বা অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল বিধানসভায় পাশ করাতে হয়। বিলের উপর আলোচনায় কংগ্রেসের সুখবিলাস বর্মা ও সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য রাজ্য সরকারের আর্থিক নীতির সমালোচনা করেন। পরিসংখ্যান সহকারে তাঁদের দু’জনের বক্তব্যের মূল সুর ছিল, কেন্দ্রীয় করের অংশ ও কেন্দ্রীয় অনুদান থেকে রাজ্যের আয়ের বেশিরভাগ আসছে। এই রাজ্যের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি অন্য রাজ্যগুলির তুলনয় কম। অর্থমন্ত্রী তাঁর জবাবি ভাষণে পাল্টা পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজ্যের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নের কথা বলেন। তিনি জানান, ২০১০-১১ আর্থিক বছরের তুলনায় ১৮-১৯ আর্থিক বছরে রাজ্যের সামগ্রিক অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিএসডিপি) আড়াই গুণ বেড়েছে। পরিকল্পনা খাতে ও মূলধনী খাতে ব্যয় ওই সময়ে বেড়েছে যথাক্রমে ৬ ও ১১ গুণ। সামাজিক উন্নয়ন, পরিকাঠামো ও কৃষি ক্ষেত্রে বরাদ্দ কয়েক গুণ বেড়েছে। ১০-১১ আর্থিক বছরে রাজ্যের নিজস্ব কর সংগ্রহ হয়েছিল ২১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। সেটা এখন তিন গুণ বেড়ে ৬৫ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা হয়েছে। ঋণের সঙ্গে জিএসডিপি-র অনুপাত ওই সময়ে ৪০.৬৫ শতাংশ থেকে কমে ৩৩.৯১ শতাংশ হয়েছে। এই সবই দেখিয়ে দিচ্ছে, রাজ্যের কতটা অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে।
অসুস্থ থাকার জন্য এবারের অধিবেশনে এর আগে শুধু একদিন বাজেট আলোচনার জবাবি ভাষণ দিতে বিধানসভায় এসেছিলেন অমিতবাবু। অুসস্থতার জন্য এদিন তাঁকে বসে বসে বক্তব্য পেশ করার অনুমতি দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বিধানসভায় সরকারের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি নিয়েছে। আসলে ওরা ‘ব্রেক ইন ইন্ডিয়া’ করছে। বিনিয়োগের প্রস্তাব আসা ১৯ শতাংশ কমে গিয়েছে দেশে। যেখানে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ চার বছর ধরে বেড়েই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বিক্রি করার মাধ্যমে ‘সেল আউট’ করেছে। এই প্রথম রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে বিদেশি ঋণ নেওয়া হচ্ছে। এটা করে বড় ঝুঁকি নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এসব করা সত্ত্বেও কেন্দ্রকে কেউ কিছু বলছে না ভয়ের কারণে। আলোচনার সময় কংগ্রেসের সুখবিলাস বর্মা অবশ্য অভিযোগ করেন, বাম আমলের তুলনায় এই সরকার বেশি ঋণ নিয়েছে। বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার সমস্যা হচ্ছে। এখন সুদ মেটাতে হচ্ছে। আসল টাকা মেটানোর সময় আরও সমস্যায় পড়বে রাজ্য।