বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এমনিতে নির্ভেজাল একটি নির্বাচন হলেও বিষয়টি নিয়ে সংসদে কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে সম্পর্ক সাময়িক তেতো হল। তৃণমূলের দাবি, সংসদীয় প্রথা মেনে এইসব ক্ষেত্রে ভোট হয় না। রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সদস্য নির্বাচন করে। সেই মতো দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর সদস্য হিসেবে ওটি তৃণমূলেরই প্রাপ্য। কিন্তু কোনও কিছু না জানিয়েই প্রদীপ ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। কেবল তাই নয়, সিপিএমকেও ডামি প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস দাঁড় করিয়েছে বলেও টিএমসির সংসদীয় দলের অভিযোগ।
দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান বলেন, ‘ইএসআইসির সদস্য পদ আমাদেরই প্রাপ্য। কিন্তু কেন কংগ্রেস প্রার্থী দিল তা স্পষ্ট হল না।’ যদিও কংগ্রেস প্রার্থী দিলেও দোলা সেন যাতে জেতেন, তার জন্য তলে তলে সমমনষ্ক দলগুলির সঙ্গে সমন্বয় রাখার চেষ্টা করে তৃণমূল। এবং সেটি কাজেও দেয়। দোলা পেলেন ৯০ টি ভোট।
আর এই অঙ্ক সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রদীপ ভট্টাচার্য। সংসদে বিল পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে পাশে পাওয়ার বার্তা দিতেই বিজেপি আজ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিজেপির দুই এমপি প্রকাশ জাভরেকর, ভূপেন্দ্র যাদবের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রদীপবাবু। বলেন, বাংলায় তৃণমূল বিজেপিকে মারছে বলে সোচ্চার হন, আর এখানে ওদেরই ভোট দিচ্ছেন!
উত্তরে জাভরেকর জানান, এটা সংসদের রাজনীতি। এই নির্বাচনে দলের পক্ষ থেকে কোনও হুইপ না থাকলেও প্রদীপবাবুর পক্ষে এদিন কংগ্রেসের দুজন বাদে সকলেই ভোট দেন। কর্ণাটকে জোট সরকার সামাল দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ এবং বি কে হরিপ্রসাদ বেঙ্গালুরুতে ব্যস্ত। তাই দলের ৪৮ জন সদস্যের মধ্যে প্রদীপবাবু পেলেন ৪৬টি ভোট। অন্যদিকে, তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপির কাছে আমরা কোনও আবেদন করিনি। এই ভোটে হুইপ হয় না। তাই গোপন ব্যালটে কে কাকে ভোট দিয়েছেন, কী করে জানব।