বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী পরে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, রাজ্যে ২০১১ সালে ৪ লক্ষ ৭২ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী ছিল। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লক্ষ ৬৯ হাজার। ২০১১-১২ সালে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলিকে ঋণদানের পরিমাণ ছিল ৫৫৩ কোটি। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার কোটি। ৯৮ শতাংশ গোষ্ঠী মহিলা পরিচালিত। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্য সরকার যে কোনও নিয়োগের ব্যাপারে ধুমধাম করে ঘোষণা করে। গ্রুপ ডি’র ক্ষেত্রেও এভাবেই ঘোষণা হয়েছিল। সেই নিয়োগই তো আজ পর্যন্ত হয়ে উঠল না। অন্যদিকে, শিলিগুড়ির মেয়র তথা সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে যে বার্ষিক পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে আদৌ কারও কিছু সুবিধা হবে? শিলিগুড়ি পুরসভা ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, বামেরা উন্নয়নের কোনও কাজই দেখতে পায় না। যে কোনও ঘোষণাকে কটাক্ষ করা ওদের এখন স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রশাসনিক মহলের মতে, শূন্যপদের জেরে রাজ্য সরকারের পরিষেবায় ঘাটতি হচ্ছে বলে বারবারই অভিযোগ উঠেছে। সেটা ভালোভাবে টের পাওয়া গিয়েছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে সরকারি কর্মীদের অবসরের পরেও নিয়োগ হয়নি। প্রশাসনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তা জানানো হয়েছিল বলে নবান্ন সূত্রে খবর। মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, বিগত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন নিয়োগ হওয়ার পরও বর্তমানে ৩৩ হাজার ৬৮৭টি পদ শূন্য। সবক’টিতেই নিয়োগ করা হবে। পদগুলির মধ্যে কতগুলি সংরক্ষিত এবং কতগুলি অসংরক্ষিত, তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ১৮ হাজার ৫২৭টি পদ অসংরক্ষিত। যার মধ্যে ১০ শতাংশ আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য। বাকি ১৫ হাজার ১৬০টি পদ সংরক্ষিত। এর মধ্যে তফসিলি জাতির জন্য ৭ হাজার ৪১১টি, তফসিলি উপজাতির জন্য ২ হাজার ২১টি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য ৫ হাজার ৭২৮টি পদ রয়েছে। এছাড়াও ১ হাজার ৩৪৭টি পদ প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত। রাজ্যের মানুষকে আরও উন্নত ও বাড়তি পরিষেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে সরকার এগুলি পূরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।